আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন সাবেক শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে নিয়ে মন্তব্য করায় তাকে হুমকি দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৩টার দিকে হোয়াটসঅ্যাপে এই হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) হিরো আলম নিজেই হত্যার হুমকির স্ক্রিনশট তার ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন।
হিরো আলম বলেন, আমার হোয়াটসঅ্যাপে নম্বরে রাত ৩টা ২০ মিনিটে অচেনা একটা নম্বর থেকে প্রথমে মেসেজ দেওয়া হয়। সেখানে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করা হয়।
হোয়াটসঅ্যাপে আমাকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়, ‘তুই সাবধানে থাকিস। কতটুকু পড়ালেখা করছোস, তুই আসিফ মাহতাব স্যারকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করলি। তুই আমার পরিচয় নিবি নে। তোরে আমি দুদিনের ভেতরে মারমু, তোর কোন বাপে ঠেকায় দেখমু, তুই শেষ।’
এরপর ৩টা ২৫ মিনিটে আবার মেসেজ দেয়। সেখানে লেখা হয়, তোর কতটুকু শক্তি আছে আমি দেখমু।’ এই মেসেজের তিন মিনিট পরেই একটা পিস্তলের ছবি পাঠানো হয়। আর সেখানে গালি দিয়ে লেখা হয়, প্রকাশ্যে তোকে গুলি করমু।
হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজটি সম্পর্কে হিরো আলম জানান, হিরো আলম তো সাধারণ মানুষের মতো চলাফেরা করে। সব জায়গায় যায়। তাকে মারা তো খুব সহজ ব্যাপার। আবার হুমকি দেওয়ার কি আছে।
হিরো আলম বলেন, আমি এখন ঢাকায় আছি। এ বিষয়ে ঢাকাতে জিডি করব, সেটা রেডি করছি। আর আসিফ মাহতাবকে নিয়ে আমি কোথাও কোনো কথা বলিনি। বাজে মন্তব্যও করিনি।
বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন হিরো আলম। তবে দুটি আসনেই পরাজয় হয় তার। পরবর্তীতে গত বছরের ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনেও অংশ নিয়েও পরাজিত হন তিনি। হারান জামানত।
এর আগেও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন হিরো আলম। যদিও পরে ‘অনিয়মের অভিযোগ তুলে’ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।
উল্লেখ্য, জাতীয় শিক্ষাক্রমের এক পাঠ্যবইয়ে থাকা ট্রান্সজেন্ডারবিষয়ক অধ্যায় নিয়ে বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন সাবেক শিক্ষক আসিফ মাহতাব মন্তব্য করে আলোচনায় আসেন। তার এ বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে বিতর্ক ও আলোচনা।
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে আসিফ মাহতাবকে ট্রান্সজেন্ডার এবং সমকামিতাবিরোধী বক্তব্য দিতে দেখা যায়। সে সময় তাকে সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের এক অধ্যায়ে ট্রান্সজেন্ডারবিষয়ক একটি গল্পের পাতা ছিঁড়ে ফেলতেও দেখা যায়।
মন্তব্য করুন