রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আজিজ মহল্লায় নির্মাণাধীন একটি স্কুলের ভবনে এক কিশোরকে চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ আর তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে গ্রেপ্তারকৃতদের বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে র্যাব।
শুক্রবার রাতে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুল হক ভূঁইয়া বিষয়টি কালবেলাকে জানিয়েছেন। তিনি জানান, এ হত্যার ঘটনায় জহিরুল ইসলাম বাবু ও আব্দুল বারেক বাবু নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মারধরের সময় আসামিদের ব্যবহৃত লাঠি, লোহার রড, ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প ও অন্যান্য আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। আসামিরা ঘটনায় জড়িত তাদের সহযোগী অন্যান্য আসামিদের নাম- ঠিকানা প্রকাশ করেছে। পলাতক বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
তিনি আরও জানান, ভোর রাতে চোর সন্দেহে তারা ভিকটিম আকাশকে (১৪) প্রথমে আটক করে এবং পরবর্তীতে সেখানে থাকা অন্যরা তাদের সাথে যুক্ত হয়ে ৬/৭ জন মিলে ভিকটিমকে আটকে রেখে দীর্ঘ সময় মারপিট করে। অতিরিক্ত মারপিটের কারণে আকাশ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে গ্রেপ্তারকৃত আসামি জহিরুল ইসলাম বাবু তার ফোন থেকে ভিকটিম আকাশের ফুফু মালতি আক্তারকে ফোন করে ডেকে এনে আকাশকে বাসায় পাঠিয়ে দেয়। কিছুক্ষণ পর আকাশের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে তারা সবাই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ভিকটিম আকাশ (১৪) মোহাম্মদপুর থানাধীন কৃষি মার্কেট সংলগ্ন হাজী চিনু মিয়া স্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াশুনা করতো। গত ৬ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে আকাশ তার বাসা থেকে বের হয়ে রাতে আর বাসায় ফেরেনি। পরদিন ৭ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টার পর দিকে কল করে একজন ব্যক্তি জানায়, আকাশ বরাবো সরকারি প্রাইমারি স্কুলের নির্মাণাধীন প্লটে পড়ে আছে তাকে যেন সেখান থেকে নিয়ে আসা হয়। সেখানে থেকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্নসহ আহত অবস্থায় পড়ে থাকা আকাশকে উদ্ধার করে বাসায় আনা হয়। কিছুক্ষণ পর আকাশ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এ ঘটনার পর নিহতের ফুফু মালতি আক্তার বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
মন্তব্য করুন