ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদে পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করা দুটি মোটিফে আগুন দিতে দেখা গেছে এক ব্যক্তিকে। চারুকলার সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ এ তথ্য জানতে পেরেছে।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সহকারী প্রক্টর ও চারুকলা অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক মো. ইসরাফিল রতন।
তিনি বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় ভোরে জিন্স প্যান্ট ও কালো শার্ট পরা এক যুবক ঘটনাস্থলে প্রবেশ করে। তার মুখে মাস্ক ছিল, চেহারা বোঝা যাচ্ছিল না। তবে তার মধ্যে কোনো ধরনের চঞ্চলতা বা তাকে উদ্বিগ্ন দেখা যায়নি। সে খুব ধীরস্থিরভাবে প্রতিকৃতিতে প্রথমে আগুন লাগায়। প্রথমে লাগানো আগুন কিছুক্ষণ জ্বলে নিভে যায়। পরে আবারও আগুন লাগায় সে।
কে সেই ব্যক্তি, তাকে শনাক্ত করা গেছে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে সহকারী প্রক্টর বলেন, পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। এ বিষয়ে আমরা তদন্ত করছি। তবে তার মুভমেন্ট দেখে বোঝা গেছে, এখানকার পরিবেশ তার খুব পরিচিত।
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর বলেন, আগুন দেওয়া সেই ব্যক্তি কে, তার পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত, তাদের প্রত্যেককে চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলেন তিনি।
এর আগে শনিবার (১২ এপ্রিল) ভোর ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে নববর্ষের শোভাযাত্রার জন্য বানানো ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফ দুটি আগুনে পুড়ে যায়। এর মধ্যে ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি মোটিফটি পুরোপুরি পুড়ে যায়। আর শান্তির পায়রা মোটিফটি আংশিক পুড়ে যায়।
তখন বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আগুনটা ফজরের নামাজের সময় লাগানো হয়েছে। আমরা এর পরেই খবর পাই। কিন্তু ফায়ার সার্ভিস আসতে আসতে ওটা পুরোটাই পুড়ে যায়। আগুনটা ইচ্ছে করেই লাগানো হয়েছে।
চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম চঞ্চল জানান, ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতিকে টার্গেট করে আগুন লাগানো হয়েছে। ওই আকৃতি পুরোটাই পুড়ে গেছে। একই সঙ্গে পায়রার অবয়বটাও পুড়ে গেছে।
মন্তব্য করুন