নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার উপনাট্য ও বিতর্কবিষয়ক সম্পাদক লিপ্টন ইসলামকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে টিএসসি এলাকা থেকে তাকে আটকের পর শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়। শাহবাগ থানার ওসি মোহাম্মদ খালিদ মনসুর গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে টিএসসি এলাকা থেকে লিপ্টন ইসলামকে আটক করেন ঢাবির নাট্য সংসদের কিছু শিক্ষার্থী। পরে তাকে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
তবে, লিপ্টনের বিরুদ্ধে কোনো মামলা রয়েছে কিনা বা তাকে কোন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে কিনা সে বিষয়ে জানায়নি পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখা-২ এর দেওয়া প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করে গত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হত্যা, নির্যাতন, গণরুমকেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল এবং এ সম্পর্কিত প্রামাণ্য তথ্য দেশের সব প্রধান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতাকর্মীদের অপরাধ আদালতেও প্রমাণিত হয়েছে।
গত বছরের ১৫ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ জনগণকে উন্মত্ত ও বেপরোয়া সশস্ত্র আক্রমণ করে শতশত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিকে হত্যা করেছে এবং আরও অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করেছে। সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে যে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কাজে জড়িত আছে।
এই অবস্থায় সরকার ‘সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯’ এর ধারা ১৮ এর উপ-ধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল এবং ওই আইনের তপশিল-২ এ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নামীয় ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসেবে তালিকাভুক্ত করল বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
মন্তব্য করুন