রাজধানীর হাজারীবাগ থানা এলাকার হাফেজ আব্দুর রহিম খানের তৃতীয় স্ত্রী হনুফা বেগম। তার অভিযোগ, স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে সতিন (দ্বিতীয় স্ত্রী) সালেহা আক্তার বাবলি তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করছেন।
আজ সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার নিম্ন আদালতে অবস্থিত কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির (সিআরইউ) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
হনুফা বেগম বলেন, ১৯৯৫ সালে হাফেজ আব্দুর রহিম খানের সঙ্গে আমার ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়। পরে ২০১০ সালে বিয়ের রেজিস্ট্রি হয়। আমি তার তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে সকল সম্পদ দেখাশোনা করতাম।
সুখে শান্তিতে আমি সংসার করছিলাম। ২০২৩ সালের ২৪ মে আমেরিকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার স্বামী মারা যান। এরপরেই আমার ওপর নেমে আসে অমানবিক নির্যাতন। আমি ন্যায় বিচার চাই। আমার ওপর নির্যাতন বন্ধ করা হোক।
তিনি বলেন, বাবলি ও তার ছেলে শাহ নেওয়াজ (জাফরি) নির্যাতনসহ আমাকে মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা দিয়েছে। বাসার বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। এখন বিদ্যুৎহীনভাবে রয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
হনুফা বেগম আরও বলেন, আমার সতিন দ্বিতীয় স্ত্রী বাবলীর চার সন্তান। কিন্তু আমার কোনো সন্তান নেই। বাবলি ও তার ছেলে শাহ নেওয়াজ আমাকে মেরে পা ভেঙ্গে দেয়। আমি তাদের নামে মামলা করেছি। কিন্তু শারিরীক নির্যাতনসহ আমার স্বামীর সকল সম্পদ হাতিয়ে নিতে তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা হয়রানিমুলক মামলা করে।
তিনি বলেন, এছাড়া হাজারিবাগে আমার বাসার বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস সংযোগ পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছে। আমার স্বামীর প্রথম স্ত্রীর চার সন্তান আমেরিকায় থাকে। তারা আমার প্রতি খুবই সদয়। কিন্তু দ্বিতীয় সতিন, তার প্রেমিক নূর করিম, সতিনের ছেলে শাহ নেওয়াজ আমার উপর নির্যাতন করে যাচ্ছে। আমি অসহায় জীবন যাপন করছি।
হানুফা বেগমের আইনজীবী সুফিয়ান নাহার (আখি) বলেন, আব্দুর রহিম খানের স্ত্রী হওয়া স্বত্ত্বেও তাকে সম্পদ থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা চলছে। মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। হনুফা বেগমের সঙ্গে তার কোনো আত্মীয় যোগাযোগ করলেই তাদের সন্ত্রাসীদের দিয়ে ভয় দেখানো হয়। আমার পরামর্শে অসহায় হনুফা বেগম বার বার থানায় গেলেও সেখান থেকে কোনো সহায়তা পাননি। তিনি আদালতে মামলা করেছেন। আমি চাই অসহায় এই নারী যেন ন্যায় বিচার পান।
মন্তব্য করুন