বন্ধুর থেকে ফোন নম্বর নিয়ে রং নাম্বারে বিবাহিত নারীর সাথে প্রেম। এরপর বিষপান করিয়ে হত্যা করে ওই নারী ও তার মেয়েকে। সম্প্রতি এমন এক ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ বিভাগ।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিক ব্রিফিংয়ের সময় উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বিধান দাসের সাথে সে নারীর ৫ মাসের পরকীয়া সম্পর্ক। এক পর্যায়ে মাধুরী বিধানকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। স্বামীকে বাপের বাড়ি যাচ্ছে বলে মেয়েকে নিয়েও চলে আসে বিধানের খোঁজে বরিশাল। আবাসিক হোটেলে রেখে সেখানে বিধানের সাথে ঘটে শারীরিক সম্পর্ক।
তবে বিয়ে না করার ফন্দি আঁটে বিধান। বিয়ের আশ্বাসে লঞ্চে করে ঢাকায় আসার পথে লঞ্চের মধ্যে পানির মধ্যে কীটনাশক মিশিয়ে দেয় বিধান। এরপর তাদের কয়েকবার বমি করলে পরে ওষুধ আনার কথা বলে লঞ্চ থেকে কৌশলে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় নিহত মাধবী ও তার মেয়ের হত্যার ঘটনায় তার স্বামী মামলা করেন। অপমৃত্যু মামলা রুজু হওয়ার পর থানা পুলিশ ঘটনাটি গুরুত্বের সাথে তদন্ত আরম্ভ করে। তদন্তে জানতে পারেন আট বছর আগে খুলনা জেলার তেরখাদা থানার পিংকু মজুমদারের সাথে মাধুরী বিশ্বাস বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয় এবং তাদের সাত বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। মেয়ে শ্রেষ্ঠাসহ মাধুরী বিশ্বাস গত ২৮ নভেম্বর সকালে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়ি বাগেরহাটের উদ্দেশে রওনা হয়। এরপর মাধুরী ও তার শিশু কন্যার আর কোনো খোঁজ মেলেনি।
তদন্তের সময় সন্দেহভাজনভাবে বিধান দাসের সন্ধান পায় পুলিশ। যার প্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামি সব ঘটনা স্বীকার করে নেন। এরই মধ্যে তাকে বিজ্ঞ আদালতে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং ঘটনার দায় স্বীকার করে সে নিজেকে জড়িয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
মন্তব্য করুন