কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৮ পিএম
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ব্যবসায়ীর লাশ মাটিচাপা দিয়ে সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই দেন তারা

ব্যবসায়ী মো. নূর আলম হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার তিনজন। ছবি : সংগৃহীত
ব্যবসায়ী মো. নূর আলম হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার তিনজন। ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে ফেব্রিকস ব্যবসায়ী মো. নূর আলম হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারদের মধ্যে একজন তারই কর্মচারী। অপর দুজন ওই কর্মচারীর বন্ধু।

তাদের গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। এ সময় আসামিরা জানিয়েছে, নূর আলমকে দুই খণ্ড করে কারখানার ভেতরে মাটিচাপা দেওয়া হয়। এরপর সেই জায়গায় বালু ও সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই করে দেন তারা।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

এর আগে নূর আলমের কর্মচারী মিরাজ মিয়া (২০) এবং তার দুই বন্ধু মো. শিপন ওরফে সম্রাট (২৫) ও মো. রিফাতকে (১৯) গ্রেপ্তার করা হয়।

তাদের দেওয়া তথ্যমতে নিখোঁজের চার দিনের মাথায় গতকাল মঙ্গলবার কারখানার ভেতর থেকে ব্যবসায়ী নূর আলমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মো. জসিম উদ্দিন বলেন, নূর আলম কামরাঙ্গীরচরের হাসাননগর ভান্ডারী মোড়ে একটি দোকান ভাড়া নিয়ে ফেব্রিকসের ব্যবসা করতেন। গত ৬ ডিসেম্বর নূর আলম তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে যাবেন বলে তাঁর স্ত্রীকে ফোন করেন। এ সময় কয়েকজন লোকের সঙ্গে নূর আলমের কথা–কাটাকাটি হওয়ার বিষয়টি মুঠোফোনে শুনতে পান নূর আলমের স্ত্রী। এরপর নূর আলম নিখোঁজ থাকায় তার জামাতা মো. আতাউল্লাহ খান সজীব কামরাঙ্গীরচর থানাকে বিষয়টি অবহিত করেন।

জসিম উদ্দিন বলেন, কামরাঙ্গীরচর থানা-পুলিশ গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে। পরে ওই কারখানা থেকে কর্মচারী মিরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দিন কামরাঙ্গীরচরের ঝাউরাহাটি থেকে রিফাতকে এবং পুরান ঢাকার সদরঘাট এলাকা থেকে শিপনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানিয়েছেন, ৬ ডিসেম্বর ভোর সাড়ে চারটা থেকে পৌনে পাঁচটার দিকে মিরাজ, রিফাত, শিপন ও পলাতক জিহাদসহ অজ্ঞাতপরিচয় দুই-তিনজন মিলে নূর আলমের মাথায় হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে চাকু দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেন। পরে কারখানার শৌচাগারে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মরদেহ দ্বিখণ্ডিত করা হয়। নূর আলমের মৃতদেহ যাতে কেউ খুঁজে না পায়, সে জন্য মৃতদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে মৃতদেহের খণ্ড দুটি পলিথিন ও কাপড় পেঁচিয়ে একটি বস্তায় ভরে ছাপাখানার ভেতরে টেবিলের নিচের মেঝে ভেঙে মাটিচাপা দেন তাঁরা। পরে ওই জায়গাটি বালু ও সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই করেন।

তিনি বলেন, মরদেহের টুকরা ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল নিহত নূর আলমের জামাতা আতাউল্লাহ খান সজীব বাদী হয়ে কামরাঙ্গীরচর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশ কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বলেন, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শীত নিয়ে যে বার্তা দিল আবহাওয়া অফিস

১২ ডিসেম্বর : নামাজের সময়সূচি

১২ ডিসেম্বর : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম কি স্বাভাবিক হল?

‘তারুণ্যের শক্তিই দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র রুখে দেবে’

তেঁতুলিয়া সীমান্তে নারীসহ আটক ৫ বাংলাদেশি

কাজ করছে না ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম

ভাসানী এক মহীরুহের অগ্নিক্ষরা সংগ্রামী জীবন : বাংলাদেশ ন্যাপ

ট্রাকচাপায় নিহত ২ মোটরসাইকেল আরোহী

১০

নির্বাচনের আগে দুটি বিষয়ের সমাধান চান জামায়াত আমির

১১

আসিফ নজরুলকে ‘র’ এজেন্ট বলায় আসিফ মাহমুদের প্রতিক্রিয়া

১২

আপনাদের স্বার্থ নিয়ে থাকেন, ভারতকে মো. শাহজাহান

১৩

শিশুকে ‘ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষককেও’ পিটিয়ে মারলেন এলাকাবাসী

১৪

বিশ্বমানের শিক্ষার সুযোগ দিচ্ছে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি

১৫

নওগাঁয় খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ

১৬

‘দেশের মানুষকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে তারেক রহমান কাজ করছেন’

১৭

দামেস্কের কাছে পৌঁছে গেছে ইসরায়েলি বাহিনী

১৮

এনআইডি করতে গিয়ে রোহিঙ্গা নারীসহ আটক ৩

১৯

কলকাতায় হাহাকার, বাংলাদেশিদের অভাবে পথে বসছেন ব্যবসায়ীরা

২০
X