বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২৪, ০১:৫১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পুলিশের শিবলীর শত শত বিঘা জমি

পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার এস এম শিবলী নোমান। ছবি : সংগৃহীত
পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার এস এম শিবলী নোমান। ছবি : সংগৃহীত

পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার এস এম শিবলী নোমান দুর্নীতি করে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। বারবার দুর্নীতির অভিযোগে বিভিন্ন জায়গায় বদলি করা হয়। ২০১৯ সালে ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠলে তাকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে বদলি করা হয়। কিন্তু কোনো নিয়মের তোয়াক্কা করেননি সেখানেও।

দুর্নীতি, ঘুষবাণিজ্য ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বনে গেছেন হাজার কোটি টাকার মালিক। গাজীপুর ১০০ বিঘা জমিতে মেসার্স এন এ এগ্রো, গোপালগঞ্জে ৪০০ বিঘা জমিতে সর্দার এগ্রো এবং রাজধানীর খিলক্ষেতে অটো হ্যাভেন নামে গাড়ির শোরুমের মালিক শিবলী নোমান। এ ছাড়া আছে ডুপ্লেক্সসহ একাধিক বাড়ি ও ফ্ল্যাট। তার বিরুদ্ধে স্বর্ণ চোরাকারবারিদের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকারও অভিযোগ রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার এস এম শিবলী নোমান গাজীপুর ও নিজ এলাকা গোপালগঞ্জে সম্পত্তির পাহাড় গড়ে তুলেছেন। গোপালগঞ্জে ৪০০ বিঘা জমিতে সর্দার এগ্রো নামে একটি ফার্ম গড়ে তুলেছেন। এই ফার্মে কাজ করেন অর্ধশতাধিক শ্রমিক। সেখানে ৫টি পুকুর আছে শিবলীর। শেওড়াবাড়ী এলাকায় অবস্থিত ফার্মের উত্তর পাশে প্রথম পুকুরের আয়তন ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ, দ্বিতীয়টির ৭১ দশমিক ১০ শতাংশ, তৃতীয়টির ৯৩ শতাংশ আর চতুর্থটির আয়তন ৬৬ শতাংশ । বিশালাকৃতির আরেকটি পুকুরের আয়তন ২ একর ৮৬ শতাংশ। এ ছাড়া ফার্মের দুপাশের জলাভূমিতে বিপুল পরিমাণ জায়গা কিনেছেন সাবেক এই অতিরিক্ত উপকমিশনার। এর মধ্যে উত্তর পাশে কেনা জলাভূমির আয়তন ৯ একর ৮৪ শতাংশ। আর দক্ষিণ পাশের আয়তন ১২ একর ৪০ শতাংশ।

জানা গেছে, সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার অবসরে যাওয়ার আগে অবৈধ আয়ের টাকা বিভিন্ন কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছেন। তিনি গাজীপুর মহানগরের ২২৭/১ পাজুলিয়া অঞ্চলে ১০০ বিঘা জমি কিনে সে জমিতে মেসার্স এন এ এগ্রো নামে একটি ফার্ম গড়ে তুলেছেন। রাজধানীর খিলক্ষেতে অটো হ্যাভেন নামের গাড়ির শোরুমের মালিক শিবলী নোমান। বিদেশ থেকে আমদানি করা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি গাড়ির শোরুমটি শিবলী নোমান নিজেই দেখাশোনা করেন। তবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগই সন্তান ও আত্মীয়স্বজনের নামে। এ ছাড়া স্ত্রীর নামেও আছে অনেক সম্পদ।

খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, মামলা নিয়ে বাণিজ্যে বেশ পটু ছিলেন শিবলী নোমান। টাকা দিলেই ছোট মামলাকে বড় করতে বিভিন্ন ধারা যুক্ত করে গ্রেপ্তার ও হয়রানি করতেন। আবার টাকার বিনিময়ে মামলা থেকে নাম কেটে দিতেন অনেকের। প্রভাব খাটিয়ে চাকরিতে নিয়োগের সুপারিশ করতেন। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে পুলিশে চাকরি এবং পদোন্নতির ব্যবস্থা করা ছিল তার মূল কাজ। বিভিন্ন পদে পদোন্নতির জন্য ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা নিতেন। এ ছাড়া কনস্টেবল, এসআই নিয়োগে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা ঘুষ নিতেন তিনি।

এসব অভিযোগ সম্পর্কে সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার এস এম শিবলী নোমান কালবেলাকে বলেন, আমার কোনো অবৈধ সম্পত্তি নেই। গোপালগঞ্জে যেসব পুকুর ও সম্পত্তি আছে, তা আমার পূর্বপুরুষের।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঢাবির বাসে হামলা, বিচার চায় ছাত্রদল-শিবির-ছাত্রফ্রন্ট

শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে— স্লোগানে ফরিদপুরে মিছিল

উত্তেজনার বিস্ফোরণ / ভারত কি এবার সত্যিই আক্রমণ করবে? 

মেস থেকে জবি শিক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার

মুরাদনগরে পুলিশি হয়রানি বন্ধ ও এসপি-ওসির প্রত্যাহার দাবি

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তার প্রেমিকাকে ধর্ষণ ছাত্রদল নেতার!

যুদ্ধে যেতে বাধ্য রাশিয়ায় পাচার হওয়া ১০ বাংলাদেশি, নিহত ৩

মাটির নিচে পাওয়া মর্টার শেল বিস্ফোরণ, অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত

বরিশালে একযোগে ১১ পুলিশ পরিদর্শকে বদলি

পালানোর সময় ছাত্রলীগ নেতাকে ধরে পুলিশে দিল বিএনপি

১০

সিলেটে ঘর থেকে সিসিক কর্মচারীর লাশ উদ্ধার

১১

এনসিপির পদ ছাড়লেন কেন্দ্রীয় সদস্য রিদওয়ান হাসান

১২

ছাত্রদল নেতার ঘরে আ.লীগ নেতা

১৩

তেঁতুলিয়ায় বিরল প্রজাতির শকুন উদ্ধার

১৪

নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষক দলের কমিটি নিয়ে চরম কোন্দল, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

১৫

নদী রক্ষায় চার সচিবসহ ১১ জনকে বেলার আইনি নোটিশ

১৬

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণে সরকারের প্রতিশ্রুতি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি

১৭

রাখাইনের জন্য ‘মানবিক করিডোর’ হবে ঝুঁকিপূর্ণ : ১২ দলীয় জোট

১৮

মানবিক করিডোর নিয়ে সরকারের একক সিদ্ধান্ত অপরিণামদর্শী : রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন

১৯

ভবনে নকশাবহির্ভূত রেস্তোরাঁ / ট্রেড লাইসেন্স বাতিল ঘোষণায় সংকটে শত শত রেস্তোরাঁ 

২০
X