রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনের ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে ডিউটিরত কনস্টেবল মনিরুল ইসলামকে গুলি করে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার কনস্টেবল কাউসার আলীর ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (৯ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহাম্মদ রিমান্ডের আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার সাব-ইন্সপেক্টর মো. আব্দুল মান্নাফ আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) রিফাত রহমান শামীম বলেন, গত রাতের ঘটনায় নিহতের ভাই মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।
তার আগে গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর বারিধারায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করে আরেক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। নিহত পুলিশ সদস্য ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি ডিভিশনে কর্মরত ছিলেন।
সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, ফিলিস্তিন দূতাবাসের নিরাপত্তাকর্মীদের ডিউটি বুথের সামনে বাগ্বিতণ্ডা করছেন কনস্টেবল কাওসার ও মনিরুল। ডিউটি খাতা নিয়ে কিছু একটা বলছিলেন তারা। এ সময় হঠাৎ করেই মনিরুলের দিকে ডিউটি খাতাটি ছুড়ে দেন কাওসার। এখানেই শেষ না, মনিরুলের দিকে তাক করে আচমকা গুলি ছুড়তে থাকেন তিনি। পরে বুথ থেকে বের হয়ে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে মনিরুলের মৃত্যু নিশ্চিত করেন কাওসার। এ সময় মনিরুলের অস্ত্রটিও হাতে তুলে নিয়ে তার দেহ লক্ষ্য করে গুলি করতে থাকেন তিনি।
এ ঘটনায় আহত হন জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেন শাহরুখ। তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল থেকে বলা হয়েছে সাজ্জাদের পেট ভেদ করে গুলি চলে গেছে। আজকের (রোববার) মধ্যেই অপারেশন করা হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কাউসার মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। গত ৫-৬ দিন ধরে বেশ চুপচাপ ছিলেন, কারও সঙ্গে কথা বলতেন না।
গুলশান থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম কালবেলাকে জানান, তাদের প্রাথমিকভাবে ধারণা; মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে কনস্টেবল কাউসার সহকর্মী কনস্টেবল মনিরুলকে গুলি করেছে। এতে তিনি ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান। একই ঘটনায় আরও দুজন আহত হন।
মন্তব্য করুন