ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে কলকাতায় হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলার আরেক আসামি তানভীর ভূঁইয়া স্বীকারোক্তি দিতে সম্মত হন।
পরে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার (৪ জুন) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড শুরু করেছেন। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র কালবেলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে, গত ২৪ মে তানভীরসহ তিনজনের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে গত ৩১ মে আদালত দ্বিতীয় দফায় তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড চলাকালীন আসামি তানভীর স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন।
এর আগে গতকাল সোমবার একই মামলায় আদালতে আসামি শিলাস্তি রহমান স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে গত ২৪ মে শিলাস্তিসহ তিনজনের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে গত ৩১ মে দ্বিতীয় দফায় তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড করেন। রিমান্ড চলাকালীন আসামি শিলাস্তি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন।
গত ২২ মে শেরেবাংলা নগর থানায় নিহত সংসদ সদস্যের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বাদী হয়ে অপহরণ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে আনোয়ারুল আজিম আনারের মেয়ে ডরিন উল্লেখ করেন, গত ৯ মে আমার বাবা আনোয়ারুল আজিম রাত ৮টায় আমাদের বর্তমান বাসা ফ্ল্যাট নং-৮০৪, ৮ম তলা, বিল্ডিং নং-০৫, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, সংসদ সদস্য ভবন, থানা- শেরেবাংলা নগর, ডিএমপি, ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা করেন। পরে গত ১১ মে বিকাল আনুমানিক ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে আমার বাবার সঙ্গে মোবাইল নম্বর ০১৭৫৫ ৩৫০ ৩৫০-এ ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তায় কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাই। গত ১৩ মে বাবার ইন্ডিয়ান সিম নম্বর +৯১৭০৬৩২১৪৫৬৯ থেকে উজির মামার ০১৭১১-২৭২ ৯১২ হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে একটি মেসেজ আসে- ‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি। আমার সঙ্গে ভিআইপি আছে। আমি অমিত সাহার কাছে যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নাই। আমি পরে ফোন দেব।’ এটি ছাড়াও আরও কয়েকটি মেসেজ আসে। ওই মেসেজগুলো আমার বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে। পরে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে আমার বাবাকে অপহরণ করেছে।
উল্লেখ্য, সংসদ সদস্য আনার চিকিৎসা করাতে ১২ মে গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। কলকাতার অদূরে বরাহনগরে বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে এক রাত থাকার পর ১৩ মে দুপুর থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন। পরে ২২ মে নিউটাউনের সঞ্জিভা গার্ডেন্সের ৫৬-বিইউ ফ্ল্যাটে খুন হওয়ার কথা জানায় সিআিইডি।
মন্তব্য করুন