‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের ঘোষিত ক্যাডার মো. নাজমুল হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৭ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবিরের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
এদিন রাজধানীর মিরপুর মডেল থানার এক মামলায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সিকদার মহিতুল আলম তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
কারাগারে আটক রাখার আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘মিল্টনের ঘোষিত ক্যাডার আসামি নাজমুল। সে অন্য এক আসামি মিল্টনের গাড়ি চালনাসহ বিভিন্ন লোকের সঙ্গে জবরদস্তি মারামারি করে ত্রাস সৃষ্টি করে থাকে বলে প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া গেছে। তদন্তে এ মামলার ঘটনায় জড়িত থাকার তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত অব্যাহত আছে। এ কাজ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত তাকে জেলহাজতে আটক রাখা প্রয়োজন। আসামি জামিনে মুক্তি পাইলে চিরতরে পলাতক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং অনান্য অজ্ঞাতনামা আসামিদের গ্রেপ্তারে ব্যাঘাত সৃষ্টি করবে।’
এদিকে আসামিপক্ষ জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে রোববার (২৬ মে) রাত ১১টার দিকে মিরপুর থানা এলাকা থেকে তাকে করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২১ সালের ৩ মার্চ রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাদী মতিউর রহমান মল্লিক তার বান্ধবী আসমা আক্তার আয়শার মাধ্যমে সংবাদ পান যে, মিরপুর-১ দক্ষিণ বিছিলের রাস্তায় অন্ধ বৃদ্ধ লোক পড়ে আছে। বাদী ওই বৃদ্ধ লোকটিকে অসুস্থ অবস্থায় পেয়ে দারুস সালাম থানায় একটি জিডি করেন। অসুস্থ বৃদ্ধ মোতালেবকে সুচিকিৎসা ও দেখভাল করার জন্য আসামি মিল্টন সমাদ্দারের চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইচ কেয়ার নামক চিকিৎসা ও সেবা কেন্দ্রে ওইদিন রাতে হস্তান্তর করেন।
পরে বাদী ভিকটিম মোতালেবকে তার আত্মীয়স্বজনের কাছে দিয়ে দিয়েছে বলে জানতে পারেন। এ বিষয়ে চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইচ কেয়ার সেন্টারে উপস্থিত হয়ে মিল্টন সমাদ্দারের কাছে ভিকটিম মোতালেবের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আসামি নাজমুলসহ ৪-৫ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি লাঠি ও লোহার রড নিয়ে উত্তেজিত হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। তখন নাজমুল জোরপূর্বক বাদীর কাছ থেকে দারুস সালাম থানায় লিপিবদ্ধকৃত ও চাইল্ড কেয়ারে হস্তান্তরের কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। পরে বাদীর মোবাইলে ধারণ করা মারামারির ভিডিও ডিলেট করে দেয় এবং জোরপূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়।
মন্তব্য করুন