অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ৬৬৬ কোটি টাকা কর ফাঁকির মামলায় হাইকোর্টে প্রথম দিনের শুনানি শেষ হয়েছে। পরে শুনানি জন্য ১৬ ও ২১ জুলাই নির্ধারণ করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিচারপতি মো. খুরশিদ আলম সরকারের দ্বৈত বেঞ্চ শুনানি শেষে এই দিন ধার্য করেন।
এর আগে, গত ১১ মার্চ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ কল্যাণের ৬৬৬ কোটি টাকা কর ফাঁকির মামলা তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
২০২২ সালের ৪ জুলাই ২৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের ৮ কর্মকর্তাসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরে অভিযোগের প্রাথমিক প্রমাণ মেলায় অধ্যাপক ইউনূসসহ তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে সংস্থাটি।
জানা গেছে, গত বছরের ২৫ জুলাইয়ে সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে কোষাগারে বকেয়া দানকর বাবদ ১২ কোটি ৪৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা জমা দেন ড. ইউনূস। সাউথইস্ট ব্যাংকে পে-অর্ডারের মাধ্যমে এই অর্থ পরিশোধ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১ জানুয়ারি ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান শেখ মেরিনা সুলতানা এক মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূস এবং পরিচালক আশরাফুল হাসান, নুরজাহান বেগম ও এম শাহজাহানকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে তাদের চার জনকেই ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ২৫ দিন কারাদণ্ড দেন আদালত। আর রায়ের পরই আলাদা জামিন আবেদন করলে চার জনকেই আপিলের শর্তে জামিন দেন আদালত। বর্তমানে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় জামিনে আছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজন।
মন্তব্য করুন