সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে গত দুই বছর ধরে যে কলঙ্কজনক অধ্যায় চলে আসছিল, আজকে তৃতীয় বছরের মতো ২০২৪ সালে সেই কলঙ্ক থেকে মুক্ত হতে পারল না।
রোববার (১০ মার্চ) আদালতে তোলার সময় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল এসব কথা বলেন।
রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করা হয়েছে। আমি তিনবারের সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচিত সম্পাদক। বারের সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত। আমি আইনজীবীদের জনপ্রিয় নেতা। নির্বাচন থেকে সরিয়ে ফলাফল ছিনিয়ে নিতে আমাকে আটক করে তথাকথিত ফলাফল ঘোষণা করেছে।
শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় হত্যাচেষ্টা মামলার গ্রেপ্তার ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিন তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ তার সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষ রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে একই ঘটনায় করা মামলায় গতকাল শনিবার আরও পাঁচ আইনজীবীর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার রাতে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুর রহমান সিদ্দিকী সাইফ (এস আর সিদ্দিকী সাইফ) তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা করেন। আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথীসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। নাহিদ সুলতানা যুথী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী।
মন্তব্য করুন