ধর্ষণ মামলায় সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সোহেল উদ্দীন প্রিন্সের বিচার শুরু হয়েছে। তার বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেছেন আদালত।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬ এর বিচারক আল মামুনের আদালত আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জগঠনের আদেশ দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এএসপি সোহেল উদ্দীন প্রিন্স। বাদীপক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল কবীর বাবুল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০২২ সালের ২৩ নভেম্বর সোহেল উদ্দিন প্রিন্সের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন এক নারী। আদালত মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারীও একজন সরকারি কর্মকর্তা। পরিচয়ের সুবাদে এএসপি সোহেল উদ্দীনের সঙ্গে তার বিয়ের কথা হয়। ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সোহেল উদ্দীন বাদীকে রমনা পুলিশ অফিসার্স মেসে আসতে বলে। সেখানে তার আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত থেকে কাজীর মাধ্যমে বিবাহ হবে বলে জানায় ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
বাদী ওইদিন সন্ধ্যা ৭টায় তার আত্নীয়-স্বজনসহ রমনা পুলিশ অফিসার্স মেসে উপস্থিত হয়ে সোহেল উদ্দীন ছাড়া আর কাউকে দেখতে না পেয়ে প্রশ্ন করলে সোহেল জানায়, কিছুক্ষণের মধ্যে সবাই এসে যাবে। বাদী সরল বিশ্বাসে আসামির সঙ্গে কথা বলতে থাকে। কথাবার্তার এক পর্যায়ে সোহেল বাদীকে খুন করার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেন।
মন্তব্য করুন