কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:১৯ পিএম
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:০৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জাপানি শিশুরা কার কাছে থাকবে, সিদ্ধান্ত দিলেন হাইকোর্ট

আলোচিত জাপানি শিশুরা। ছবি : সংগৃহীত
আলোচিত জাপানি শিশুরা। ছবি : সংগৃহীত

আলোচিত জাপানি তিন শিশু কার জিম্মায় থাকবে— এ নিয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মামনুন রহমানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

রায়ে বলা হয়, জাপানি দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও তার ছোট বোন তাদের জাপানি মা নাকানো এরিকোর কাছে থাকবে। আর মেজ মেয়ে লাইলা লিনা তাদের বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফের কাছে থাকবে। বড় মেয়েকে নিয়ে নাকানো এরিকোর জাপান যেতেও বাধা নেই বলেও রায়ে বলা হয়েছে।

আদালতে ইমরান শরীফের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আখতার ইমাম, ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম, অ্যাডভোকেট নাসিমা আক্তার লাভলী। নাকানো এরিকোর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কেসি ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।

পরে শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, বড় মেয়ে তাকবে মায়ের কাছে। মেঝে মেয়ে থাকবে বাবার কাছে। প্রত্যোকেই প্রত্যেকের সাথে দেখা করার সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। ছোট মেয়ে জাপানে আছে, সেটা মামলার বিষয়বস্তু না। তার ব্যাপারে হাইকোর্ট কিছু বলেননি।

এর আগে গত বছরের ২৯ জানুয়ারি জাপানি দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা মায়ের জিম্মায় থাকবে বলে রায় দেন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমান। শিশুদের নিজ হেফাজতে নিতে বাবা ইমরান শরিফের করা আবেদন খারিজ করে ওই রায় দেন বিচারিক আদালত। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আপিল করেন ইমরান শরিফ। পরে গত বছরের ১৬ জুলাই দুই শিশুর বাবা ইমরান শরীফের করা আপিল খারিজ করে দেন ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ হাবিবুর রহমান ভুঁইয়া। ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করে ইমরান শরিফ। যে আবেদনের ওপর আজ রায় দিলেন হাইকোর্ট।

জাপানি চিকিৎসক নাকানো এরিকোর সঙ্গে বাংলাদেশি প্রকৌশলী ইমরান শরীফের বিয়ে হয় ২০০৮ সালে। দাম্পত্য কলহের জেরে ২০২০ সালের শুরুতে বিচ্ছেদের আবেদন করেন এরিকো। এরপর ইমরান স্কুলপড়ুয়া বড় দুই মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। ছোট মেয়ে জাপানে এরিকোর সঙ্গে থেকে যান।

মেয়েদের জিম্মা পেতে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে গত বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশে আসেন এ জাপানি নারী। তিনি হাইকোর্টে রিট আবেদন করলে তাদের সমঝোতায় আসতে বলেন বিচারক। তবে ওই দম্পতি সমঝোতায় না আসায় কয়েক মাস ধরে শুনানির পর হাইকোর্ট দুই সন্তানকে বাবার হেফাজতে রাখার সিদ্ধান্ত দেন। পাশাপাশি মা যাতে সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে বাবাকে খরচ দিতে বলা হয়।

হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন শিশুদের মা নাকানো এরিকো। পরে আপিল বিভাগ এক আদেশে শিশু দুটিকে মায়ের জিম্মায় রাখার নির্দেশ দিলেও বাবা সেটা না মানায় বিচারকরা উষ্মা প্রকাশ করেন। পরে আদালত শিশু দুটিকে বাবার হেফাজত থেকে এনে তাদের সঙ্গে কথা বলে এবং পরে মায়ের হেফাজতে দেওয়ার আদেশ দেন। এরপর ২০২২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি দুই মেয়ে কার জিম্মায় থাকবে, তার নিষ্পত্তি পারিবারিক আদালতে হবে এবং তার আগ পর্যন্ত দুই শিশু তাদের মায়ের কাছেই থাকবে বলে সিদ্ধান্ত দেন আপিল বিভাগ। এরপর আপিল বিভাগ থেকে মামলাটি ঢাকার পারিবারিক আদালতে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

২০ সেপ্টেম্বর : নামাজের সময়সূচি

শুক্রবার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

ইতিহাসের এই দিনে আলোচিত যত ঘটনা

ছুটির দিনটি কেমন যাবে, জেনে নিন রাশিফলে

অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে লাখ টাকা জরিমানা

ক্রেতা সেজে মাদক কারবারিকে ধরল ডিবি পুলিশ

যোগদান করলেন বাকৃবির নবনিযুক্ত উপাচার্য

ডর্‌পের কর্মশালায় ‘স্মোকিং জোন’ বিলুপ্তির প্রস্তাব

হত্যা মামলায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শাহ আলী গ্রেপ্তার

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ইবিতে মিছিল

১০

সিলেটে পাথরবোঝাই ট্রলিচাপায় কিশোর নিহত

১১

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ববিতে বিক্ষোভ

১২

ব্রাহ্মণপাড়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মারধর ও লাঞ্ছিতের অভিযোগ

১৩

হাতিয়া উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদককে শোকজ

১৪

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে চবিতে মশাল মিছিল

১৫

শহীদদের স্মরণে ববিতে দ্রোহের গান ও আজাদী সন্ধ্যা

১৬

খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত

১৭

দেশকে নতুন করে সাজাতে হবে : ডিআইজি মঞ্জুর মোরশেদ

১৮

বনানীতে বিপুল পরিমাণ মদ জব্দ

১৯

দিনমজুরকে গলা কেটে হত্যা, ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন

২০
X