ওয়ার্কশপে কাজ করতে গিয়ে তিন বছর আগে হাত হারানো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার শিশু নাঈম হাসান নাহিদকে ৩০ লাখ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট করে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে বিচারপতি নাইমা হায়দার এবং বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এ সময় নাহিদের পড়াশোনার খরচ বাবদ প্রতি মাসে সাত হাজার টাকা করেও দিতে বলা হয়েছে। রায় শেষে ১৩ বছর বয়সী শিশু নাঈমকে এজলাসে ডেকে নিজ হাতে চকলেট উপহার দেন বিচারপতি নাইমা হায়দার। পরে শিশুটিকে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠিত হয়ে যেন আবারও দেখা করেন তার সঙ্গে। এ সময় এজলাসে তৈরি হয় এক আবেগঘন পরিবেশ।
আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার অনীক আর হক এবং অ্যাডভোকেট মো. বাকির উদ্দিন ভূইয়া। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী তামজিদ হাসান। তারা কোনো টাকা ছাড়াই নাঈমের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেছেন।
ওয়ার্কশপ মালিকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও আইনজীবী আবদুল বারেক। এ ছাড়া রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।
উল্লেখ্য, গত ৫ ডিসেম্বর শিশু নাঈম হাসানকে ক্ষতিপূরণ দিতে রুলের ওপর শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত বিষয়টি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন। আজ সে রায় ঘোষণা করা হয়।