প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলার ঘটনায় রমনা থানায় করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদন নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টের আদেশ চেম্বার আদালতে বহাল রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ১৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। ওইদিন আপিল বিভাগে এ বিষয়ে শুনানি হবে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। ফখরুলের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোন, অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওন।
এর আগে সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের হাজির করা হয়।
এরও আগে গত ১৪ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক সুমিত কুমার সাহা তাকে গ্রেপ্তার দেখনোসহ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আবেদনের পর উপস্থিতিতে শুনানির জন্য সোমবার দিন ধার্য করেন আদালত। আবেদনে বলা হয়েছে, ‘এজাহারনামীয় ও তাদের সহযোগী আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বেআইনি জনতাবদ্ধে দাঙ্গা-হাঙ্গামা করত বাঁশের লাঠি নিয়ে সজ্জিত হয়ে পুলিশকে আক্রমণ, বলপ্রয়োগ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গুরুতর জখম করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টিসহ ব্যক্তি ও সম্পত্তির ক্ষতিসাধন করে। ধৃত উল্লিখিত আসামিদ্বয় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা। উক্ত আসামিদ্বয় ঘটনার দিন নাশকতা ও অরাজকতা পরিবেশ সৃষ্টির জন্য প্রকাশ্যে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা প্রদান করেন। যার প্রেক্ষিতে এজাহারনামীয় ও পলাতক আসামিরা পল্টন মডেল থানার সামনে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ এবং ককটেল বিস্ফোরণ করে পুলিশ সদস্যদের গুরুতর আহত করে। মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে উল্লিখিত আসামিদ্বয়কে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোপূর্বক মামলার রহস্য উদঘাটন, পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার, ককটেল নিক্ষেপকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ ও অভিযান পরিচালনার জন্য দশ দিনের পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।’
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় গত ২৯ অক্টোবর গ্রেপ্তার দেখিয়ে মির্জা ফখরুলকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পল্টন মডেল থানার মামলায় গ্রেপ্তারের পর গত ৩ নভেম্বর আমির খসরুর ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে গত ১০ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
মন্তব্য করুন