২০১৮ সালের রাতের ভোটের অভিযোগ প্রমাণে ১৮ কোটি সাক্ষী হাজির করতে বললেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেন, ‘২০১৮ সালে রাতে ভোটের কথা বলছেন। এসব বক্তব্য রাজনৈতিক মঞ্চে দেবেন। আদালতে প্রমাণ ছাড়া কথা বলবেন না। রাতে ভোটের বিষয়ে কী কোনো মামলা হয়েছে। কোনো সাক্ষী প্রমাণ থাকলে দিন। ধারণার ওপর ভিত্তি করে কথা বলবেন না।’
আজ সোমবার (৪ ডিসেম্বর) আগামী ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব কথা বলেন।
রিট শুনানিকালে আবেদনকারী অ্যাডভোকেট মো. ইউনুস আলী আকন্দ আদালতকে বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৫৩ জন সংসদ সদস্য বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। আর ২০১৮ সালে রাতের আঁধারে ভোট হয়েছে। দেশের ১৮ কোটি মানুষ এসব ঘটনার সাক্ষী।
বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম তখন আবেদনকারীকে বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৫৩ জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি ইতোমধ্যে হাইকোর্টে নিষ্পত্তি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাতের ভোটের অভিযোগ প্রমাণে সাক্ষ্যপ্রমাণ ও ১৮ কোটি সাক্ষী হাজির করেন। যেদিন ১৮ কোটি সাক্ষীকে হাজির করতে পারবেন, সেদিন পর্যন্ত আমরা আপনার রিট আবেদন স্থগিত রাখব।’
রিট আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী এবং নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
তারা হাইকোর্টকে বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণায় কোনো আইন ও সংবিধান লঙ্ঘন হয়নি।
অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন ও ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ হাইকোর্ট বেঞ্চের কাছে রিট আবেদনকারী ইউনুস আলী আকন্দের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আবেদন জানিয়ে বলেন, তিনি অগ্রহণযোগ্য রিট দায়ের করে আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট করেছেন।
শুনানি শেষে আদালত রিট আবেদনের ওপর আদেশের জন্য ১০ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেন।
ইউনুস আলী আকন্দকে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে লিখিতভাবে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করতে বলেছেন আদালত।
ইউনুস আলী আকন্দ গত ২৯ নভেম্বর হাইকোর্টে জনস্বার্থে এ রিট আবেদন দায়ের করেন।
আবেদনে আদালতের কাছে নির্বাচনের তপশিল স্থগিত করে পুনঃতপশিল দেওয়ার নির্দেশ চাওয়া হয়।
মন্তব্য করুন