প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় রমনা মডেল থানায় করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন শুনানি পিছিয়ে আগামী বুধবার দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ সোমবার ঢাকার ভারপ্রাপ্ত মহানগর দায়রা জজ ফয়সাল আতিক বিন কাদের এ দিন ধার্য করেন। এর আগে ঢাকা মহানগর আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল জামিন শুনানি পেছানোর জন্য আবেদন করেন।
গত ২৮ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মির্জা ফখরুলের গুলশানের বাসা থেকে তাকে আটক করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। পর দিন জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
নথি থেকে জানা গেছে, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির পূর্বঘোষিত মহাসমাবেশে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতাকর্মীরা হাতে লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল ও ককটেলসহ বিভিন্ন মারাত্মক অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রধান বিচারপতির বাস ভবনের সামনে বেআইনি সমাবেশ ঘটিয়ে রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান ও মিছিল করতে থাকে। ওই সময় তারা বৈশাখী পরিবহনের বাসসহ একাধিক বাস, পিকআপ ভাঙচুর করে আনুমানিক ২০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে। মিছিলকারীরা বিএনপি ও তার অঙ্গ-সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশে জনমনে আতঙ্ক, ত্রাস সৃষ্টি করে পুলিশের কর্তব্য পালনে বাধা ও হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুলিশ সদস্যদের আহত করে।
ফখরুল ছাড়াও এ মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, আহমেদ খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ভিপি জয়নাল, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার ও সদস্য সচিব আমিনুল হক।
মন্তব্য করুন