সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী একেএম শাহজাহানসহ দুজন আদালতে সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন। অপর সাক্ষী হলেন- নুরুল হোসেন খান।
বুধবার ঢাকার বিশেষ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমামের আদালত তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর তাদের জেরা করেন। জেরা শেষ হলে আগামী ১২ নভেম্বর আদালত পরবর্তী সাফাই সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন। আব্বাসের আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে গত ৫ নভেম্বর এ মামলায় মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার দেখান আদালত। ওইদিন মামলাটির যুক্তিতর্ক থেকে ফিরিয়ে সাফাই সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আবেদন করেন আব্বাসের আইনজীবী। আবেদনের পর আদালত সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সংগতিবিহীন ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট দুদকের উপপরিচালক মো. শফিউল আলম রাজধানীর রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। তদন্তে তার বিরুদ্ধে ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ২২ লাখ টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৮ সালের ১৬ জুন আদালত এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এ মামলার বিচার চলাকালীন আদালত ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের গত ২৯ অক্টোবর রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় উপপরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মির্জা আব্বাসকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন। এ মামলায় মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। গত ১ নভেম্বর এ মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফিউদ্দিন তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মন্তব্য করুন