তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও তার পরিবারের সদস্যদের জড়িয়ে রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা, অসত্য ও বানোয়াট তথ্য সংবলিত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোডের দায়ে আটজনের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।
মামলায় কানাডা প্রবাসী নাজমুস সাকিব নামে কথিত সাংবাদিক ও ইউটিউবারকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। চট্টগ্রামের চকবাজার থানায় এ মামলা হয়।
মো. আরিফুল ইসলাম গতকাল রোববার (১৮ জুন) এ মামলা করেন। যারা ওই ভিডিওতে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করেছেন এবং ভবিষ্যতেও শেয়ার করবেন তাদেরও আসামি করা হবে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
যা বলা হয়েছে মামলার এজাহারে
এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, ‘আমার প্রিয় নেতা ড. হাছান মাহমুদকে রাজনৈতিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয়ভাবে, হেয়প্রতিপন্ন, মানহানি ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার কু-মানসে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ‘নাগরিক টিভি’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজ থেকে প্রিয় নেতার ছবি সংবলিত নাম উল্লেখ করে ১৩ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ আপলোড করে।
প্রকৃতপক্ষে, উল্লিখিত ছবি সংবলিত ভিডিওটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, ষড়যন্ত্রমূলক, মানহানিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রকৃত অর্থে এটা কোনো টিভি চ্যানেল নয়। এটি একটি ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজ মাত্র। তাদের উল্লিখিত কর্মকাণ্ডের কারণে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত প্রকৃত নাগরিক টিভির কর্তৃপক্ষ আসামি কর্তৃক পরিচালিত ভুয়া ও অবৈধ নামধারী নাগরিক টিভির সম্পর্ক নেই বলে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি এরই মধ্যে প্রচার করেছে।
কী বলছে পুলিশ
চকবাজার থানার ওসি বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে মামলার বিষয়টি দেখছি। এই ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলটির অ্যাডমিন নাজমুস সাকিবের বিরুদ্ধে এর আগেও এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খোঁজ পেয়েছি তার বিরুদ্ধে আরও মামলা এবং লন্ডনে বসে বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি চেষ্টাকারী একটি মহলের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যোগাযোগের অভিযোগ আছে।
‘তার স্থায়ী ঠিকানা ঢাকার বাসাবোতে ও গ্রামের বাড়ি রংপুর। আমরা বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছি।’
মন্তব্য করুন