ঢাকার সাভারে কিশোরীকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করাসহ নির্যাতন করার অভিযোগে করা মামলায় রিমান্ড শেষে ঢাকা জেলা যুব মহিলা লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহনাজ তাবাসসুম মিশুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২৭ আগস্ট) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগম কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন।
এদিন রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে কাশিমপুর মহিলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৯ আগস্ট সাভার উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন নিজ বাড়ি থেকে মেহনাজ মিশু গ্রেপ্তার হয়। ওইদিন বিকেলে তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। আদালত মিশুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরদিন ২০ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তার সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এরপর গত ২৩ আগস্ট আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সম্প্রতি এক কিশোরীকে বিবস্ত্র করে ছবি তুলে অনৈতিক কাজে বাধ্য করতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে জোরপূর্বক নেশাদ্রব্য খাইয়ে ৫তলা ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দেন মিশু, তার স্বামী ও অজ্ঞাত কয়েকজন সহযোগী। গুরুতর আহত অবস্থায় সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসা দেওয়া হয় ওই কিশোরীকে।
গত ১৯ আগস্ট সে বাসায় ফেরে। এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে মেহনাজ মিশু, তার স্বামী আতিকুর রহমান আতিক ও অজ্ঞাত ৬-৭ জনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় মামলা করেন। মেহনাজ মিশুকে আটকের পর ‘শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগে’ সংগঠন থেকে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।