তালা ভেঙে ফ্ল্যাট থেকে ১৮ লাখ টাকার মালামাল চুরির ঘটনায় রাজধানীর যাত্রবাড়ী থানার মামলায় গ্রেপ্তার মো. জহিরুল ইসলাম রিপনের (৪০) একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজার আদালত এ আদেশ দেন। সোমবার (২৮ এপ্রিল) আদালতে যাত্রাবাড়ী থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।
জানা যায়, গত রোববার আসামিকে আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ। আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ডের বিরোধিতা করে জামিন চাওয়া হয়। শুনানি শেষে আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, ২০২৫ সালের ২১ এপ্রিল বিউটি আক্তার রীনা বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, আসামি মো. জহিরুল ইসলাম রিপন ও আমার ফ্ল্যাটের মালিক মো. আলমগীরের মধ্যে দীর্ঘ দিন আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এ ঘটনার জের ধরে গত বছরের ২৫ মার্চ আমার (বিউটি) ফ্ল্যাটের মূল দরজার কেচি-গেট কেটে ফেলে রিপনসহ বাকি আসামিরা। সেসময় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ভয়ে আমি আত্মীয়ের বাসায় বসবাস করতে থাকি। পরবর্তীতে প্রায় এক বছর পর গত ৩ এপ্রিল আমি ফ্লাটে আসি। এরপর দেখতে পাই ফ্লাটের দরজায় আমার লাগানো তালা নেই। অন্য একটি তালা লাগানো।
বাসার দারোয়ানসহ কয়েকজনকে ডেকে জানতে পারি, আসামি রিপনসহ তার সঙ্গের আসামিরা ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে ব্ল্যাক কালারের ২ লাখ ২০ হাজার টাকার একটি ডাবল ডোর ফ্রিজ, ৫৫ হাহার টাকার ১টি সাদা রঙের ডিপ ফ্রিজ, ৫৫ হাজার টাকার টিভি, ৮০ হাজার টাকা একটি ক্যামেরা, ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের ২টি কাঠ কালারের সেগুন কাঠের বক্স খাট, আলমারি, আলমারিতে থাকা দেড় লাখ টাকা, ওয়ারড্রপ, সোফাসেট, ডাইনিং টেবিলসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র মিলে মোট ১৮ লাখ ৯১ হাজার ৩৭০ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে।
রিপনসহ মোশাররফ হোসেন রায়হান ও শাওন ফ্ল্যাটে থাকা উল্লিখিত এসব মালামাল চুরি করে নিয়ে যায় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। মামলায় এই তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। এদিকে আসামি রিপন এ মামলা ছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যায় শেখ হাসিনার সঙ্গে আরও ৪ মামলার আসামি।
মন্তব্য করুন