ফরিদপুরে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবকের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ আদেশ দেন।
আদেশ অনুযায়ী ওই টাকা না দিতে পারলে তাকে আরও তিন মাস জেলের রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
সাজাপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তির নাম আমিরুল মৃধা (৩২)। তিনি ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার খরসূতি গ্রামের মৃত আনোয়ার মৃধার ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আমিরুল মৃধা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পর তাকে পুলিশ প্রহরায় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই শিশু ফরিদপুরের সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের ইউসুফ দিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তবে ঘটনার সময়ে ওই শিশু ফরিদপুর পৌরসভার কমলাপুর পিয়ন কলোনিতে বসবাস করতেন। গত ২০২২ সালের ১৯ জুন বেলা ১২টার দিকে শিশুটি স্কুল থেকে বাসায় আসে।
এর কিছু সময় পর এলাকার চানমারি পিয়ন কলোনিতে তার মামার দোকানে চিপস কেনার জন্য যায়। ওই সময় আসামি ওই দোকানে উপস্থিত ছিল। এক পর্যায়ে শিশুটিকে টাকার লোভ দেখিয়ে জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে ঘটনার পরের দিন আমিরুলকে একমাত্র আসামি করে মামলা করেন।
এ বিষয়ে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন জানান, আমরা রাষ্ট্রপক্ষ মামলার এ রায়ে সন্তুষ্ট হয়েছি। এ মামলা একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে থাকবে ধর্ষকদের জন্য।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার এসআই মো. মিজানুর রহমান গত ২০২৩ সালের ১৮ জানুয়ারি আমিরুলকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। পরে মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে মামলাটির রায় ঘোষণা করা হয়। রায় ঘোষণার পর আসামিকে পুলিশ পাহারায় কারাগারে পাঠানো হয়।
মন্তব্য করুন