বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মুগদা থানার আরেক হত্যা মামলায় নতুন করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামকে। শুনানিতে আসার পর তার পায়ে ব্যান্ডেজ দেখা যায়। এ সময় তাকে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটতেও দেখা যায়।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমানের আদালতে অন্য মন্ত্রী-এমপিদের সঙ্গে মামলার গ্রেপ্তার শুনানিতে তোলা হয় কামরুল ইসলামকে।
এ সময় মাথায় হেলমেট, বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, হাত পেছনে রেখে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে তোলা হয় তাকে। কামরুলের গায়ে ছিল চিরাচরিত মেরুন কালারের হাফ হাতা শার্ট, চোখে সানগ্লাস, পায়ে চামড়ার জুতা। তবে জুতার মধ্যেই ডান পায়ে ব্যান্ডেজ দেখা যায় কামরুলের। খুঁড়িয়ে খঁড়িয়ে হাঁটেন তিনি। এ সময় জয়নাল নামে এক পুলিশ সদস্য তার হাত ধরে নিয়ে যান।
পরে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। এক ফাঁকে পলকের হাতের ওপর হাত রেখে দাঁড়ান তিনি। পলক কামরুলের হাত টিপে দেন কিছু সময়। শুনানির সময় কাঠগড়ায় সাংবাদিক ফারজানা রুপাকে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতেও দেখা যায় কামরুলকে। এ সময় একজন নারী আইনজীবী কামরুল ইসলামকে সালাম দেন। কামরুল ওই আইনজীবীকে বলেন, ‘তুমি এত কষ্ট করে কেন আসলে। কোনো সমস্যা হয়েছে নাকি।’ পরে ওই আইনজীবী বলেন, না স্যার। আপনাকে সালাম দিতে আসলাম। পরে অবশ্য নারী আইনজীবীর নাম জানা যায়নি।
এদিকে শুনানি শেষে মুগদা থানার আরেক মামলায় কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। শুনানির পর আবার কামরুলকে হাজতখানায় নেওয়া হয়। আদালতের ৬ তলায় তোলার সময় লিফট ব্যবহার করলেও নামানোর সময় হাঁটিয়ে নেওয়া হয় কামরুলকে। এ সময় তাকে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হেঁটে যেতে দেখা যায়। এছাড়া পুলিশের ওপর একবার বেজায় চটেন কামরুল ইসলাম।
এর আগে, গত বছরের ১৮ নভেম্বর রাতে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। এরপর বিভিন্ন মামলায় একাধিকবার তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন