হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার শুনানিতে গিয়ে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আইনজীবীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে চেঁচামেচি করলেন ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজি সেলিম।
বুধবার (০৯ এপ্রিল) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিএম ফারহান ইশতিয়াকের আদালতে তাকে তোলা হয়। এ সময় বিভিন্ন মন্ত্রী-এমপি আসামিরাও ছিলেন। তবে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে নিজের আইনজীবীর প্রতি হঠাৎ ক্ষেপে যান হাজি সেলিম। এসময় এতোই রেগে যান যে ওকালতনামায় স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। পরে তাকে বুঝানোর পর তিনি স্বাক্ষর করেন। এরপর যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলায় হাজি সেলিমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
হাজি সেলিমের চিৎকার শুনে এজলাসে উপস্থিত অন্যরা হতবাক হয়ে যান। হাজি সেলিমের মেজাজ হারানোর বিষয় তার আইনজীবীর সঙ্গে এ সময় কথা বলেন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান।
সাদেক খান তখন আইনজীবী প্রাণ নাথ রায়কে উদ্দেশ্যে বলেন, ‘কারাগারে সমস্যায় রয়েছেন হাজি সেলিম। হাজি সেলিমের কথা কারাগারে কেউ বোঝেন না। খাওয়া-দাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে হাজি সেলিমের আইনজীবী শ্রী প্রাণ নাথ বলেন, আমার মক্কেল কথা বলতে পারেন না। কারাগারে খাবার খেতে পারেন না। কাউকে কোন কিছু বুঝাতে পারেন না। এই অভিমানে আমার ওপর রেগে গেছিলেন। এজন্য তিনি ওকালত নামায় স্বাক্ষর করতে চাচ্ছিলেন না। কিছুক্ষণ বুঝানোর পর তিনি স্বাক্ষর করেন। তাকে বলেছি, সিস্টেমের বাইরে তো কিছু করতে পারব না।
তিনি আরও বলেন, আমার মক্কেলকে ১৯ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এখনো ১০ দিনের রিমান্ড পেন্ডিং রয়েছে।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ২১ জুলাই দুপুর আড়াইটায় যাত্রাবাড়ী থানাধীন ফুটওভার ব্রিজ নিচে ছাত্রজনতার সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন সাজেদুর রহমান ওমর। পরে বিকেলে আসামিদের আক্রমণে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ আগস্ট মারা যান। এ ঘটনায় গত ৩ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা হয়।
মন্তব্য করুন