আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা পরিচালনার জন্য প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পাওয়া আইনজীবী আফরোজ পারভীন সিলভিয়ার নিয়োগ বাতিল করেছে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সিলভিয়াসহ চার আইনজীবীকে প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। কিন্তু সিলভিয়া বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে খবর আসার পর তার নিয়োগ ওই দিনই বাতিল করা হয়।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর (অ্যাডমিন) গাজী এম এইচ তামিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সিলভিয়াসহ আরও চার আইনজীবীকে প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। ওই দিন এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ (জিপি-পিপি শাখা)।
প্রজ্ঞাপন জারির পরপরই আইনজীবী আফরোজ পারভীন সিলভিয়ার নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে আওয়ামীপন্থি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকা সত্ত্বেও তিনি কীভাবে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পেলেন, তা নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আওয়ামী লীগের আইনজীবীদের সঙ্গে নতুন নিয়োগ পাওয়া সিলভিয়ার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ছবি সামনে আসতে থাকে। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরপরই তার নিয়োগ বাতিল করা হয় বলে জানায় প্রসিকিউশন বিভাগ।
বৃহস্পতিবার নিয়োগ পাওয়া আর তিনি প্রসিকিউটর হলেন মো. মামুনুর রশীদ, আবদুস সাত্তার এবং এস এম তাসমিরুল ইসলাম।
এর আগে গত বছর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ তাজুল ইসলামকে এবং সুপ্রিম কোর্টের চার আইনজীবীকে প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। এরপর আরও কয়েকজন আইনজীবীকে ট্রাইব্যুনালে মামলা পরিচালনার জন্য প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার।
মন্তব্য করুন