কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৫, ০১:০৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘তুরিন আফরোজ ক্ষমতার সবরকম অপব্যবহার করেছেন’

ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ। ছবি : সংগৃহীত
ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ। ছবি : সংগৃহীত

ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর থাকা অবস্থায় ক্ষমতার সব রকম অপব্যবহার করেছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক।

বুধবার (১২ মার্চ) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে বাড়ি সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এ কথা বলেন তিনি। আদালত এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৩০ এপ্রিল দিন নির্ধারণ করেছেন।

ব্যারিস্টার অনীক আর হক বলেছেন, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর থাকা অবস্থায় ক্ষমতার সব রকম অপব্যবহার করেছে। তখন সে ছিল পরাক্রমশালী। এক মুহূর্তের মধ্যে তার মাকে বাড়ি থেকে বের দিয়েছেন। উত্তরার বাড়িতে সেই মায়ের থাকার নির্দেশনা প্রার্থনা করছি।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, আইনজীবী বিএম ইলিয়াস কচি, ব্যারিস্টার মনজুর রাব্বী, ব্যারিস্টার আতিকুল হক। তুরিন আফরোজের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ সাইফুল করিম।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর উত্তরায় পাঁচতলা বাড়িতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজের মা শামসুন্নাহার বেগম এবং তুরিন আফরোজের ভাই শিশির আহমেদ শাহনেওয়াজ আহমেদের বসবাস করা নিয়ে বিচারিক আদালতের স্থিতাবস্থার আদেশ বাতিল করে দেন হাইকোর্ট। এর ফলে ওই বাড়িতে শামসুন্নাহার বেগম ও শাহনেওয়াজের বসবাসের ক্ষেত্রে আর কোনো আইনগত বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

উল্লেখ্য, বিচারিক আদালতের মামলার আরজিতে তুরিন আফরোজ দাবি করেছেন, তুরিনের মা শামসুন্নাহার ১৯৯১ সালে ক্রয়সূত্রে উত্তরার সম্পত্তির মালিক হন। পরের বছর ১৯৯২ সালে শামসুন্নাহার তার স্বামী তসলিম উদ্দিনকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিযুক্ত করেন। পরে ১৯৯৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর তসলিম উদ্দিন মেয়ে তুরিন আফরোজকে হেবা (দানপত্র) করেন। তবে শামসুন্নাহার ও তার ছেলে শাহনেওয়াজ আদালতে লিখিত জবাব দিয়ে বলেছেন, তসলিম উদ্দিন কখনো তার মেয়ে তুরিন আফরোজকে উত্তরার সম্পত্তি দান করেননি। বরং শামসুন্নাহার তার ছেলে শাহনেওয়াজকে উত্তরার সম্পত্তি ১৯৯৭ সালে হেবা করে দেন। পরে ওই জমি শাহনেওয়াজের নামে নামজারি করে ১৯৯৯ সালে হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকা ঋণ নেওয়া হয়। রাজউকের অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী নির্মাণ করা বাড়িতে তারা ২০০২ সালে থেকে বসবাস করে আসছিলেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

অটোভ্যানে ট্রাকের ধাক্কা, প্রাণ গেল মা-মেয়ের 

রোজা না রাখায় প্রকাশ্যে কান ধরালেন বণিক সমিতির নেতা

বাংলাদেশ কারও তালুকদারি নয় : মির্জা আব্বাস

আইন উপদেষ্টার কাছে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের ৫ দাবি

চটলেন মমতা, প্রমাণ দিলে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়ার ঘোষণা

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা শরিফুল গ্রেপ্তার

মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি যুবক নিহত

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলায় বাংলাদেশের সমর্থন চায় গাম্বিয়া

ইফতার মাহফিল ঘিরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, নিহত ১

জবি ছাত্রদলের কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতার লিফলেট বিতরণ 

১০

উপজেলা প্রশাসনের র‌্যালিতে আ.লীগ নেতারা, অতঃপর... 

১১

উত্তরসহ প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ কুবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে

১২

‘গুনাহগার’ শেখ সাদী, পরী বললেন ‘মাশাল্লাহ’ (ভিডিও)

১৩

নতুন বউ নিয়ে ফেরার পথে বরযাত্রীকে গাছে বেঁধে ডাকাতি

১৪

ভারত ও ভিয়েতনাম থেকে এলো ৩৮ হাজার মেট্রিক টন চাল 

১৫

হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের উপাধ্যক্ষকে হত্যা : দম্পতির দোষ স্বীকার 

১৬

৮ উপদেষ্টা নিয়োগের খবর নিয়ে যা জানা গেল

১৭

মাদক মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন

১৮

ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা বাড়াচ্ছে ইরান

১৯

দা হাতে বিএনপি নেতা, ভিডিও ভাইরাল

২০
X