এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রিধারী ছাড়া ডিপ্লোমা সনদধারীরা কেউ নামের আগে ‘ডাক্তার’ পদবি লিখতে পারবেন না।
বুধবার (১২ মার্চ) বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি সাথীকা হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
এতদিন এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া যারা ডাক্তার পদবি ব্যবহার করেছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) থেকে আইন ভঙ্গ করে কেউ ডাক্তার পদবি ব্যবহার করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে, ন্যূনতম এমবিবিএস অথবা বিডিএস ডিগ্রিপ্রাপ্ত ছাড়া অন্য কেউ তাদের নামের আগে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না, মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইনের এমন বিধান প্রশ্নে রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়। ‘ডিএমএফ’ ডিগ্রিধারীদের নামের আগে ডাক্তার ব্যবহারকে কেন্দ্র করে আইনটির বৈষম্যমূলক প্রয়োগ নিয়ে এক যুগ আগে করা অপর রিটেরও শুনানি শেষে হয়েছে।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি পৃথক দুটি রিটের ওপর একসঙ্গে শুনানি শেষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট একই বেঞ্চ রায়ের জন্য আজ ১২ মার্চ দিন ধার্য করেন।
মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইনের ২৯ ধারা অনুযায়ী ভুয়া পদবী ব্যবহার নিষিদ্ধ। এই আইনের ২৯ (১) অনুযায়ী, ন্যূনতম এমবিবিএস অথবা বিডিএস ডিগ্রি প্রাপ্তগণ ব্যতিত অন্য কেউ তাদের নামের পূর্বে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না।
২৯ (২) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন করলে উক্ত লংঘন হবে একটি অপরাধ, এবং সেজন্য তিনি ৩ (তিন) বছর কারাদণ্ড বা ১ (এক) লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং উক্ত অপরাধ অব্যাহত থাকলে প্রত্যেকবার উহার পুনরাবৃত্তির জন্য অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে, বর্ণিত দণ্ডের অতিরিক্ত হিসেবে দণ্ডনীয় হবেন।
মন্তব্য করুন