আওয়ামী সরকারের সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী মিসেস ফৌজিয়া ইসলামের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১০ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের পৃথক দুই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
দুদকের পক্ষে কমিশনের উপসহকারী পরিচালক আবু মোহাম্মদ আনোয়ারুল মাসুদ আয়কর নথি জব্দ চেয়ে আবেদন করেন।
তাজুল ইসলামের আবেদনে বলা হয়, তার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক অসদাচরণ, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৭ কোটি ৮০ লাখ ২০ হাজার ৯৩৭ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন ও দখলে রাখা এবং ৩৫টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনক ৭৩ কোটি ৬২ লাখ ৪০ হাজার ৪৩৯ টাকা জমা ও ৬৬ কোটি ১২ লাখ ৫৭ হাজার ৬৭৮ টাকা উত্তোলন, হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরপূর্বক আয়ের উৎস আড়াল করার অপরাধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা তৎসহ মানিলন্ডারিং আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় মামলা করা হয়েছে। বিদ্যমান অবস্থায় মামলা তদন্তের স্বার্থে তাজুল ইসলামের আয়কর নথি জব্দ করার লক্ষ্যে আদালতের আদেশ প্রয়োজন।
মিসেস ফৌজিয়া ইসলামের আবেদনে বলা হয়, তার বিরুদ্ধে অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৬ কোটি ৯০ লাখ ২ হাজার ৪ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন ও দখলে রাখা এবং অভিযোগ সংশ্লিষ্ট তাজুল ইসলাম অসদুপায়ে উপার্জিত অর্থ দ্বারা স্ত্রীর নামে ওই টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে সহায়তা প্রদান এবং ১১টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনক ১৩ কোটি ৯৩ লাখ ৫০ হাজার ২০৩ টাকা জমা ও ১৩ কোটি ১৮ লাখ ৪৪ হাজার ৯৭৫ টাকা উত্তোলন, হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরপূর্বক আয়ের উৎস আড়াল করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা তৎসহ পেনাল কোডের ১০৯ ধারায় মামলাটি করা হয়েছে। বিদ্যমান অবস্থায় মামলা তদন্তের স্বার্থে মিসেস ফৌজিয়া ইসলামের আয়কর নথি জব্দ করার লক্ষ্যে আদালতের আদেশ প্রয়োজন।
গত ২২ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করে দুদক।
মন্তব্য করুন