পাঁচ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধারের অভিযোগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ডা. ইশরাত রফিক ঈশিতাকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (০৩ মার্চ) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুনাভ চক্রবর্তীর আদালত মামলাটিতে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামিকে খালাস দেন। মামলাটির আসামিপক্ষের আইনজীবী শেখ কানিজ ফাতেমা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রায়ের পর সন্তুষ্টি প্রকাশ করে ডা. ইশরাত রফিক ঈশিতা বলেন, এ রায়ে আমি খুশি। আমাকে পোশাক খুলে সেনাবাহিনীর পোশাক পরিয়ে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়। সে সময় বাবা মা ছাড়া আমার পাশে কেউ ছিল না। সত্যের জয় হয়েছে।
জানা যায়, ৫ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধারের অভিযোগে ডা. ঈশিতার বিরুদ্ধে এ মামলাটি করা হয়। এ মামলাটি ২০২ সালের ৯ জানুয়ারি মামলাটির চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটিতে ১৩ জনের ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
এর আগে, ২০২১ সালের ১ আগস্ট মিরপুর থেকে ডা. ঈশিতাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তার বিরুদ্ধে পরদিন ২ আগস্ট দেশি-বিদেশি সংস্থার ভুয়া প্রতিনিধি, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পরিচয়ে প্রতারণা, মাদক ব্যবসা, সার্টিফিকেট জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, মাদক ও প্রতারণা আইনে রাজধানীর শাহআলী থানায় তিনটি মামলা করা হয়। গ্রেপ্তারের ১৪ মাস পর ২০২২ সালের ১ অক্টোবর কারাগার থেকে মুক্তি পান।
এর মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২০২৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ডা. ইশরাতকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন সাইবার ট্রাইব্যুনাল। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ২২ নভেম্বর আপিল করা হয় হাইকোর্টে। ওই আপিলের শুনানি নিয়ে গত বছরের ২৯ মে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক বেঞ্চ তাকে খালাস দিয়ে এ রায় ঘোষণা করেন।
মন্তব্য করুন