কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

খালেদা জিয়ার খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আপিলের শুনানির দিন ধার্য

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। পুরোনো ছবি
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। পুরোনো ছবি

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ড থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক যে আপিল আবেদন করেছে, তার শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।আগামী ২ মার্চ শুনানি হবে।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

এর আগে, গত বছরের ২৭ নভেম্বর জিয়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে খালাস দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় দেন। রায়ে খালেদা জিয়া ছাড়াও হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম এবং সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খানও এ মামলায় খালাস পান।

হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন এবং আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। শুনানিতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।

এ মামলায় হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশের পর রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) দায়ের করে।

২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের সাত নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সাজা হয়েছে মামলার অপর তিন আসামিরও।

সাজাপ্রাপ্ত অন্য তিন আসামি হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (প্রয়াত), হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। তখন হারিছ চৌধুরী পলাতক হন। পরে তিনি প্রয়াত হন। বাকি আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করেন।

২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা করা হয়। ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্ত শেষে ২০১২ সালে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদাসহ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম শেষ হলে দুদকের পক্ষে ওই মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ২০১৮ সালের ১৯ অক্টোবর রায় ঘোষণা করা হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নিজে বাঁচতে যাত্রীদের খালে ফেলে দিলেন অটোচালক

অভিনেত্রী শাওন-হারুনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

বাবার সঙ্গে নিজ গ্রামে গাইবেন হাবিব

কাশ্মীর হামলার পর পাকিস্তান সেনাপ্রধানের পুরোনো বক্তব্য ফের ভাইরাল

‘হাসিনারে নামাইতে পোলারে হারাইছি’

লা লিগায় খেলতে চান রোমেরো

সাবেক মেয়র আতিক নির্বাচনে অংশ নিলে বিজয়ী হবেন : আইনজীবী 

বন্ধ হলো ঝালকাঠির সেই হাউন আঙ্কেলের ভাতের হোটেল

আ.লীগের দোসররা ঘাপটি মেরে আছে : রিজভী

তিনটায় শাহবাগ ব্লকেড 

১০

তিন বিভাগে তাপপ্রবাহ 

১১

মাগুরায় আলোচিত শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলার বিচার শুরু

১২

রিয়াল মাদ্রিদের আগ্রহ নিয়ে মুখ খুললেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার

১৩

পাকিস্তানের কথা বিশ্বাস করছে না ভারত

১৪

টেস্ট চলাকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বিসিবি কর্মকর্তার মৃত্যু

১৫

আগে একাত্তরের গণহত্যাকারীদের বিচার, পরে হাসিনার : শাজাহান খান

১৬

জাপান আইটি উইকে অংশ নিচ্ছে বেসিসের ৬ সদস্য প্রতিষ্ঠান

১৭

কাশ্মীরে হামলাকারী কারা, পাকিস্তানের সঙ্গে কী সম্পর্ক?

১৮

সিলেটে টেস্ট / টাইগার ব্যাটারদের ভরাডুবি, জিম্বাবুয়ের টার্গেট ১৭৪ রান

১৯

বনশ্রীতে হারল্যান স্টোরের আরও একটি নতুন আউটলেট চালু

২০
X