জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বহুল আলোচিত-সমালোচিত পুলিশ কর্মকর্তা সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদের ১০০ বিঘা জমি, পাঁচটি ভবন ও দুটি ফ্ল্যাট ক্রোক করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে হারুনের নামে বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি হিসাব অবরুদ্ধ করারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এসব হিসাবে হারুনের জমা রয়েছে ১ কোটি ২৬ লাখ ৯০ হাজার ৪৬৮ টাকা।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীনের আবেদনে বিচারক মো. জাকির হোসেন এই নির্দেশ দেন।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, হারুন অর রশিদের নামে ঢাকার উত্তরায় ৭ দশমিক ৪৫ কাঠা জমিতে ৩ কোটি টাকার মূল্যের একটি ইমারত রয়েছে। এ ছাড়া গুলশানে ১০ দশমিক ৩৬ শতক জমিতে ৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকার আরেকটি ইমারত রয়েছে। কুড়িলে সেমি পাকা একটি টিনশেড বাড়ি, খিলক্ষেতে এক তলা একটি দালান ও সেমি পাকা আরেকটি টিনের বাড়ি রয়েছে হারুনের নামে। এসব ভবন জব্দ করার আবেদন করা হয়েছে।
এ ছাড়া হারুনের নামে উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরে সাত তলা ভবনে দ্বিতীয় তলায় একটি ফ্ল্যাট ও জোয়ার সাহারায় ছয়তলা ভবনের ছয় তলায় আরেকটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এ দুই ফ্ল্যাটসহ আশিয়ান সিটিতে হারুনের নামে পাঁচ কাঠার একটি প্লট জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
কিশোরগঞ্জ, কক্সবাজার ও নারায়ণগঞ্জেও ডিবি হারুনের নামে ৯৯ দশমিক ১৮ বিঘা জমি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে শুধু কিশোরগঞ্জেই অভিযুক্ত হারুনের নামে ৯১ দশমিক ৩২ বিঘা জমি রয়েছে।
আবেদনে আরও বলা হয়, হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান ও তদন্তাধীন রয়েছে। তিনি যেকোনো সময় এসব স্থাবর সম্পদ বিক্রি করতে পারেন, হস্তান্তর করতে পারেন বা অন্যের নামে স্থানান্তর করতে পারেন বলে দুদক বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছে। এ অবস্থায় এসব স্থাবর সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ প্রয়োজন।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে আলোচিত এই পুলিশ কর্মকর্তার খোঁজ মিলছে না। এর আগে তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন ঢাকার এই আদালত।
মন্তব্য করুন