বিএনপির ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবরে ঢাকার মহাসমাবেশে বিশৃঙ্খলা হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক যুগ্ম কমিশনার মো. শহিদুল্লাহ।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমানের আদালতে রিমান্ড শুনানিতে এ কথা স্বীকার করেন তিনি।
বিএনপির মহাসমাবেশে যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় তাকে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মতিঝিল জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক মো. আব্দুল্লাহেল বাকী।
এসময় রিমান্ডের জোর দাবি জানান ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী।
শুনানিতে তিনি বলেন,
বিএনপির মহাসমাবেশ বানচালে তিনি কাজ করেছেন। অন্য আসামিদের সঙ্গে পরিকল্পিতভাবে তিনি সমাবেশ পণ্ড করতে সহযোগিতা করেন। তিনি ফ্যাসিস্ট হাসিনার পছন্দ করা লোক। এই হত্যায় তিনি মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন।
এ সময় আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
শুনানিতে আসামি শহিদুল্লাহ আদালতে কথা বলতে চান। পরে আদালতের অনুমতি নিয়ে তিনি বলেন, বিএনপির মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে অনেক ঝামেলা হয়েছে, এটা সঠিক। আমি ওইদিন গুলশান এলাকায় দায়িত্বে ছিলাম। এক অঞ্চলের ডিসি আরেক এলাকায় যান না। রমনায় বিশৃঙ্খলা হয়েছে। সেখানে আমি ছিলাম না। তদন্তে সঠিক রহস্য উদঘাটন হবে। এটার মাধ্যমেই মামলাটি নিষ্পত্তি হোক। শুনানি শেষে আদালত তার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে রোববার ভোররাতে রাজধানী রমনা থেকে তাকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী ঢাকায় মহাসমাবেশ ডাকে। মহাসমাবেশকে পণ্ড করার জন্য একই দিনে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ ডাকে। বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা ও গুম করার উদ্দেশে পুলিশের সহায়তায় মহাসমাবেশে হামলা চালানো হয়। হামলায় যুবদল নেতা শামীম নিহত হন। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা করা হয়।
মন্তব্য করুন