সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেনকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে মেহেরপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন নাহার এ আদেশ দেন। তবে রিমান্ডের সময় তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ সময় জেলা জামায়াত নেতা তারেক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এর আগে সকালে আদালত প্রাঙ্গণে অপ্রীতিকর অবস্থা এড়াতে নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই মেহেরপুর জেলা কারাগার থেকে ফরহাদ হোসেন ও তার ভাই সরফরাজ হোসেন মৃদুলকে আদালতে হাজির করা হয়।
দুইটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) আবু সালেহ মোহাম্মদ নাছিম আসামিদের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। প্রায় ২০ মিনিট শুনানির পরে আদালত সন্ত্রাসবিরোধ আইনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর হামলার অভিযোগের দায়ের করা মামলায় আসামিদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে মেহেরপুর জেলা কারাগারের জেলগেটে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আবু সালেহ মো. নাসিম এবং আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহীন।
এর আগে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে মেহেরপুর জেলা স্থানান্তর করা হয়েছিল। খবর পেয়ে এলাকার অনেক উৎসুক মানুষ সড়কে বেরিয়ে আসে। জেলা কারাগারের সামনেও কিছু মানুষের ভিড় দেখা যায়। যেকোনো প্রকার অপ্রীতিকর অবস্থা মোকাবিলা করতে কারাগার ও আদালত প্রাঙ্গনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল।
পাবলিক প্রসিকিউটর আবু সালেহ মো. নাসিম কালবেলাকে বলেন, ‘আদালতে দুটি মামলায় মোট সাত দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত একটি মামলায় ফরহাদ হোসেনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। জেলগেটে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছে ।’
উল্লেখ্য, ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আত্মগোপনে ছিলেন সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। গত ১৪ সেপ্টম্বর রাতে রাজধানীর ইস্কাটন এলাকা থেকে আদাবর থানার একটি হত্যা মামলায় তাকে আটক করেছিল র্যাব। তার নামে রাজধানী ঢাকা ও মেহেরপুরে বেশ কয়েটি মামলা চলমান।
মন্তব্য করুন