কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৫০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

শামসুদ্দোহার দুর্নীতির দুই মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত

শামসুদ্দোহা খন্দকার। ছবি : সংগৃহীত
শামসুদ্দোহা খন্দকার। ছবি : সংগৃহীত

পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (আইজিপি) শামসুদ্দোহা খন্দকারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা পৃথক দুটি মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত হয়েছে। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি চার্জগঠন শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

সোমবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত মামলাটি ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে বদলি করেন। দুটি মামলার একটিতে তার স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানা খন্দকারকে আসামি করা হয়েছে।

২০১৮ সালে শামসুদ্দোহা ও স্ত্রীর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে। অনুসন্ধান শেষে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। সন্তানদের পড়াশোনা এবং সংসারের ব্যয় মিটিয়ে শামসুদ্দোহা ও স্ত্রী যে সম্পদ অর্জন করেছেন, তা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত। ফেরদৌসী দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে সম্পদের উৎস হিসেবে স্বামীর দেশে-বিদেশে চাকরি, যুক্তরাজ্যে নিজের তিন বছরের চাকরি, কৃষি খামার ও ব্যবসার আয় এবং মায়ের দান, জমি ও ফ্ল্যাট বিক্রির কথা উল্লেখ করেন। তবে এই উৎসগুলোর সপক্ষে ফেরদৌসী প্রমাণপত্র জমা দেননি। শামসুদ্দোহার কাছ থেকেও প্রমাণপত্র পাওয়া যায়নি। ২০১৯ সালে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে সংস্থাটি। তদন্ত শেষে গত বছরের ২ জুলাই আদালতে দুদকের সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলম পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দেন।

এক মামলার অভিযোগপত্রে শামছুদ্দোহা খন্দকারের বিরুদ্ধে ৮ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ২২১ টাকার সম্পদ গোপনসহ ২ কোটি ৮৭ লাখ তিন হাজার ৩৭৮ টাকার জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং বিভিন্ন ব্যাংকে সন্দেহজনক তথা অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া যায়। এছাড়া অপর মামলার অভিযোগপত্রে শামছুদ্দোহা ও তার স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানা খন্দকারের বিরুদ্ধে ২৮ কোটি ৪৭ লাখ তিন হাজার ৮৯১ টাকার সম্পদ গোপনসহ ২৭ কোটি ৪৮ লাখ ৮২ হাজার ৪৯১ টাকার জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া যায়। ফেরদৌসী সুলতানা খন্দকার পেশায় একজন গৃহিণী হয়েও বিভিন্ন ব্যাংকে সন্দেহজনক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া যায়।

১৯৮৬ সালে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে পুলিশবাহিনীতে যোগ দেন শামসুদ্দোহা। ২০১১ সালে অতিরিক্ত আইজিপি থাকাবস্থায় তাকে প্রেষণে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেয় সরকার। দায়িত্ব পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ ওঠে। এরপর ২০১৫ সালে তাকে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ২০১৬ সালের ৩ মার্চ চাকরি থেকে অবসরে যান তিনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওয়াশিংটনে বিমান-হেলিকপ্টার সংঘর্ষ / ভয়াবহ পরিস্থিতি, প্রার্থনা করতে বললেন ভার্জিনিয়ার গভর্নর

ঢাকা এসেছেন ট্রাম্পের ব্যবসায়িক পার্টনার জেনট্রি

৪ বছর পর আবারো একসঙ্গে নাগা-পল্লবী

মাদক মামলায় সম্রাটের বিচার শুরু

যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক

পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ-নাহিদ

বিপিএলে বকেয়া পারিশ্রমিক নিয়ে তামিমের ক্ষোভ

নারায়ণগঞ্জে ছাত্রলীগ সন্দেহে ৬ যুবককে মারধর, যুবলীগ নেতা আটক

‘জুলাইয়ের মতোই রাজপথে নামবে ছাত্রদল’

ট্রাম্পের উচিত ইসরায়েলিদের তাড়িয়ে দেয়া

১০

যুক্তরাষ্ট্রে বিমান-হেলিকপ্টার সংঘর্ষের ঘটনায় ট্রাম্পের বিবৃতি

১১

ওয়াশিংটনে বিমান-হেলিকপ্টার সংঘর্ষে ১৮ মরদেহ উদ্ধার

১২

দুই বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা, বাড়বে তাপমাত্রা

১৩

সুযোগ পেয়েও ইমনের মেডিকেলে ভর্তি হওয়া অনিশ্চিত

১৪

শীতে কাবু কুড়িগ্রামের মানুষ, বিপর্যস্ত জনজীবন

১৫

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশ / মাথা গোঁজার ঠাঁই পেলেন তাঁবুতে থাকা সেই বাদশা 

১৬

বিদেশি নাগরিকসহ আট জিম্মিকে মুক্তি দিচ্ছে ফিলিস্তিনিরা

১৭

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মসূচির প্রতিবাদে ঢাকা কলেজে বিক্ষোভ 

১৮

ঢাকার বাতাস আজও ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’

১৯

প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বের হয়ে গেল যুক্তরাষ্ট্র

২০
X