রাজধানীর কোতোয়ালি এলাকা থেকে প্রতারণামূলকভাবে একটি পিকআপ গাড়ি নিয়ে উধাও হয়ে যায় গাড়ির ড্রাইভার ও হেলপার। গাড়ির বিভিন্ন অংশসহ প্রতারক ড্রাইভারকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত ড্রাইভারের নাম মো. জাহাঙ্গীর আলম (৩৫)।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) রাত দেড়টায় ঢাকা জেলার আশুলিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর ড্রাইভার জাহাঙ্গীরের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে সেই গাড়ির বিভিন্ন অংশ উদ্ধার করা হয়েছে।
কোতোয়ালি থানা সূত্রে জানা যায়, জনৈক মো. ছারোয়ার হোসেন বাদল (৫৮) একজন ফল ব্যবসায়ী। তার মালিকানাধীন পিকআপ গাড়ির ড্রাইভার ও হেলপার হিসেবে কর্মরত ছিল মো. জাহাঙ্গীর আলম ও মো. সুজন। তারা গত ১০ অক্টোবর কোতোয়ালি থানার ওয়াইজঘাট এলাকা থেকে পিকআপ গাড়িটি নিয়ে গাজীপুরের উদ্দেশে রওনা হয়। পরে তাদের গাজীপুর জেলা মাওনা চৌরাস্তা থেকে টাইলস নিয়ে কক্সবাজার জেলার রামু বাইপাস যাওয়ার কথা ছিল এবং গত ১৩ অক্টোবর ওই গাড়ি নিয়ে ড্রাইভার ও হেলপারের ঢাকায় ফিরে আসবে।
এরমধ্যে ড্রাইভার জাহাঙ্গীর ফোন করে মালিককে জানায়, তারা একটি ট্রিপ নিয়েছে এবং সেই ট্রিপের বিনিময়ে প্রতিদিন মালিককে ২ হাজার টাকা করে দিবে। কিন্তু পরবর্তীতে তারা গাড়ির মালিক মো. ছারোয়ার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। অতঃপর গাড়ির কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় গত ২৮ ডিসেম্বর গাড়ির মালিক মো. ছারোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ড্রাইভার জাহাঙ্গীর আলম ও হেলপার মো. সুজনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
দায়ের করা মামলাটি তদন্তকালে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় এবং আশুলিয়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় আশুলিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গাড়ির ড্রাইভার মো. জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার করে। পরে জাহাঙ্গীরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করে স্থানীয় একটি অটোরিকশা গ্যারেজের পাশ থেকে গাড়ির কেবিনসহ সামনের অংশ, ইঞ্জিন, চেসিসসহ বিভিন্ন অংশ উদ্ধার করা হয়। এরপর গ্রেপ্তারকৃত জাহাঙ্গীরের ভাড়া বাসা থেকে গাড়ির কিছু অংশ বিশেষ এবং গাড়ির কিছু অংশবিশেষ অপর আসামি সুজনের ভাড়া বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, গাড়ির ড্রাইভার জাহাঙ্গীর গাড়িটি বিক্রয় করার জন্য জাল বিক্রয় চুক্তিপত্রও প্রস্তুত করেছিল।
গাড়ির বাকি অংশ উদ্ধার ও অপর আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেপ্তারকৃত জাহাঙ্গীরকে কোতোয়ালি থানার মামলার বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন