বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বাহাদুর হোসেন মনির নামে এক ব্যক্তি নিহতের ঘটনায় রাজধানীর গুলশান থানায় দায়ের করা মামলায় জাসদ সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ ছাড়া রাজধানীর শাহবাগ, হাতিরঝিল, মিরপুর ও উত্তরা পশ্চিম থানার একাধিক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করীম চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট মনোয়ার ইসলাম রবিনকে।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরীফুর রহমানের আদালত পৃথক শুনানি শেষে এসব আদেশ দেন।
এদিন হাসানুল হক ইনুর দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের গুলশান জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু জাফর বিশ্বাস। আসামিপক্ষে আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, রাজনৈতিক কারণে হাসানুল হক ইনুকে হয়রানি করার জন্য এ মামলায় আসামি করে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। রিমান্ড নামঞ্জুরের প্রার্থনা করছি। প্রয়োজনে তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।
এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী আসামির সর্বোচ্চ রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। এ সময় তিনি বলেন, হাসানুল হক ইনু এ মামলার এজাহার নামীয় আসামি। ইনুদের মতো ১৪ দলীয় জোটের নেতাদের ইন্ধনে শেখ হাসিনা এতবড় গণহত্যা চালিয়েছে। উভয়পক্ষের যুক্তি তর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ জুলাই গুলশান থানাধীন প্রগতি স্বরণীতে আন্দোলন চলাকালে মো. বাহাদুর হোসেন মনির রাস্তা পার হয়ে বাসায় যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন। পরে মনিরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর নিহতের বাবা আবু জাফর রাজধানীর গুলশান থানায় শেখ হাসিনাসহ ১০৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
মন্তব্য করুন