পল্টন থানার যুবদল কর্মী শামীম হত্যা মামলায় সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও ঢাকা ৭-এর সাবেক এমপি সোলায়মান সেলিমের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সে সঙ্গে পল্টন মডেল থানার বিএনপি কর্মী মকবুল হত্যা মামলায় এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানকে ৩ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আসামিদের হাজির করে এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।
এছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন থানার মামলায় সালমান এফ রহমান, গোলাম কিবরিয়া টিপু, কামাল আহমেদ মজুমদার, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু ও মোজাম্মেল হককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী শুনানিতে অংশ নেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষে শ্রী প্রাণ নাথসহ একাধিক আইনজীবী শুনানি করেন।
আদালতে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি উল্লেখিত এলাকার অধিবাসী নই কিংবা সংসদ সদস্য ছিলাম না। আমাকে এই হত্যার মাস্টারমাইন্ড বলা অমূলক। ২০১৭ সাল থেকে আমি ক্যান্সার আক্রান্ত। আমার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় জামিন আবেদন করছি। আমি একসময় এই আদালতের পিপি ছিলাম, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, জেল হত্যা মামলাসহ অসংখ্য মামলার প্রসিকিউটর হিসেবে কাজ করেছি। আমি মন্ত্রী-এমপি ছিলাম। এখন সুপ্রিম কোর্টের একজন সিনিয়র আইনজীবী। এখানে যে আইনজীবীরা আছেন তারা আমার বন্ধু। তাদের নিয়ে কিছু বলতে চাই না।’
এদিকে নজিবুর রহমান বলেন, ‘আমি একজন পেনশনভোগী সরকারি কর্মচারী। সম্প্রতি আমার চোখের অপারেশন হয়েছে। আমাকে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক।’
এছাড়াও রাজধানীর নিউমার্কেট থানার মামলায় সালমান এফ রহমানকে, হাতিরঝিল থানার মামলায় গোলাম কিবরিয়া টিপুকে, মিরপুর, কাফরুল ও রামপুরা থানার পৃথক ৩ মামলায় কামাল আহমেদ মজুমদারকে, মিরপুর মডেল থানার মামলায় চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে, মিরপুর থানার পৃথক ২ মামলায় মাহবুব আলীকে এবং মতিঝিল মডেল থানার মামলায় রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু ও মোজাম্মেল হককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মন্তব্য করুন