কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪২ এএম
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৪ এএম
অনলাইন সংস্করণ

সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল প্রশ্নে রায় পড়া শুরু

হাইকোর্টের পুরোনো ছবি।
হাইকোর্টের পুরোনো ছবি।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলসহ বেশকিছু বিষয়ে আনা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে জারি করা পৃথক রুলের ওপর হাইকোর্টের রায় পড়া শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১১টায় বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রায় পড়া শুরু হয়।

এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর রুলের ওপর শুনানি শেষে রায় ঘোষণার এদিন ধার্য করা হয়।

আদালতে এই রিট আবেদনের ওপর রাষ্ট্রপক্ষে রুলের শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলে বিষয়ে রিটকারী সুজনের বদিউল আলমের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শরিফ ভূঁইয়া। বিএনপির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, বদরুদ্দোজা বাদল, রুহুল কুদ্দুস কাজল প্রমুখ।

এ ছাড়া জামায়াতের পক্ষে শিশির মনির, ব্যারিস্টার এহসান সিদ্দিকী, ইনসানিয়াত বিপ্লবের পক্ষে ইশরাত হাসান এবং চার আবেদনকারীর পক্ষে জুনায়েদ আহমেদ চৌধুরী ও ইন্টারভেনর হিসেবে হামিদুল মিসবাহ শুনানি করেন।

জানা গেছে, গত ৪ ডিসেম্বর হাইকোর্টে পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা দুটি রিটের শুনানি হয়। এরপর ১৭ ডিসেম্বর রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত। রিটের পক্ষে অবস্থান নেয় বিএনপি, জামায়াতসহ কয়েকটি সংগঠন। প্রায় সকলেই শুনানিতে তত্ত্ববধায়ক সরকারের পক্ষে মত দেন।

পঞ্চদশ সংশোধনীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয় এবং সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা পুনর্বহাল করা হয়। এই সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি সংযোজন করা হয়।

এ ছাড়া এর মাধ্যমে সংবিধানে ৭ অনুচ্ছেদের পরে ৭(ক)(খ) অনুচ্ছেদ সংযোজন করা হয়। যেখানে বলা হয়, সংবিধানবহির্ভূতপন্থায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল রাষ্ট্রদ্রোহ অপরাধ বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে দোষী করে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধানও যুক্ত করা হয়েছে।

২০১১ সালের ৩০ জুন পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিধানে আওয়ামী লীগ শেষ পেরেক ঠুকে দেয়। এ ছাড়া সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বিধান জারি করা হয়। এভাবে ছোট বড় ৫৫টি সংশোধনী আনা হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইসরায়েলে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি

রাজধানীর সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ

পূর্বাচলের লেক থেকে অজ্ঞাত তরুণীর লাশ উদ্ধার

সাবেক এমপি নিক্সনের সহযোগী গ্রেপ্তার

নাটোরে মধ্যরাতে বিএনপি নেতার বাড়িতে গুলিবর্ষণ

রাজশাহীতে আজও বাস বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

‘আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় ক্রিয়েটিভিটি ঝেঁটিয়ে বিদায় করা হয়’

‘পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের মৌলিক কাঠামো ধ্বংস করা হয়’

হাতে হ্যান্ডকাফ নিয়ে হাসপাতালেই যুবকের গান ভাইরাল

স্কুলে ভর্তিতে লটারির ফল প্রকাশ

১০

গুলিতে নিহত বাবলু, কলেজছাত্র ছেলে এখন নির্মাণশ্রমিক

১১

গুমের ঘটনায় শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন

১২

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল অবৈধ

১৩

সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল প্রশ্নে রায় পড়া শুরু

১৪

সিরিয়ার চাবি এরদোয়ানের হাতে স্বীকার করলেন ট্রাম্প

১৫

আ.লীগ সরকারের ১২ মন্ত্রীসহ ১৬ জন মানবতাবিরোধী ট্রাইব্যুনালে

১৬

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্তে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটি

১৭

শেখ হাসিনার এপিএস লিকুর সহযোগী সোহাগ গ্রেপ্তার

১৮

বরফে জমে যাচ্ছে মরুময় সৌদি আরব

১৯

বায়ুদূষণে শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার পরিস্থিতি কী

২০
X