সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫ বিলিয়ন ডলারের (৫০০ কোটি ডলার) দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সাহেদুল আজম তমাল।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার ববি হাজ্জাজ গত ৩ সেপ্টেম্বর এ রিট করেন। রিটে গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়েছে।
রিট আবেদনের পক্ষের আইনজীবী ওমর শরীফ জানান, অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য দুদকে আগস্টে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু দুদক কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় হাইকোর্টে রিট করা হয়।
রিট আবেদনে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের এমডি, রূপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রজেক্ট ডিরেক্টর, শেখ হাসিনা ওয়াজেদ, সজিব ওয়াজেদ জয়, টিউলিপ সিদ্দিক ও তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
অভিযোগ ওঠা ৫ বিলিয়ন ডলারের দুর্নীতি প্রতিরোধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা বা ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, অভিযোগ তদন্তের পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা বা ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, এ মর্মে রুল জারির আবেদন জানানো হয়েছে রিটে। পাশাপাশি অভিযোগের তদন্তের জন্য দুদকের চেয়ারম্যানের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের আগস্ট মাসের মাঝামাঝিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাৎ করেছেন বলে তথ্য প্রকাশ করে গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প নামের একটি ওয়েবসাইট।
ওই ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ আত্মসাতের কাজে তাকে সহায়তা করেছেন ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক। শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা রাশিয়ান কোম্পানি রোসাটমের কাছ থেকে একটি পারমাণবিক চুল্লি কেনার নামে এই বিশাল অর্থের লেনদেন করেন।
মন্তব্য করুন