প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় রমনা মডেল থানায় করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ দলটির ৮৩ নেতাকর্মীকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতায় এ মামলা করা হয়।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের রমনা থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জিন্নাত এ তথ্য নিশ্চিত করেন। গত ২৮ নভেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহর আদালত এ আদেশ দেন।
জানা যায়, এ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসামিদের বিরুদ্ধে ঘটনায় জড়িত থাকার তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাস ছাড়াও এ মামলায় অব্যাহতিপ্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা হলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ভিপি জয়নাল, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার ও সদস্য সচিব আমিনুল হক।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছিল, ২০২৩ সালের গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগে বিএনপির নেতাকর্মীরা গাছের ডাল ভেঙে ও লাঠি দিয়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের নামফলক, গেটে হামলা চালান এবং বাসভবনের ভেতরে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এ ঘটনায় রমনা মডেল থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মফিজুর রহমান বাদী হয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির ৭২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় মামলা করেন।
আরও বলা হয়, বিভিন্ন সময়ে এ মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তদন্ত শেষে গত ২৮ অক্টোবর এ মামলায় মির্জা ফখরুলসহ ৮৩ জনের অব্যাহতি চেয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশ পরিদর্শক মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।
মন্তব্য করুন