কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৫ পিএম
আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গ্রেপ্তার দেখানো হলো মামুন-জিয়াউলসহ ৮ কর্মকর্তাকে

পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান। ছবি : সংগৃহীত
পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান। ছবি : সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ আট কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে তাদের বিষয়ে শুনানি হয়।

এর আগে, সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে তাদের পুরনো হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থিত ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

ট্রাইব্যুনালে যাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে- সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউল আহসান, ঢাকা জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল কাফি, ডিএমপির সাবেক ডিসি মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা, ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুর ইসলাম, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান, গুলশান থানার সাবেক ওসি মাজহারুল হক এবং ঢাকা উত্তর ডিবির সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।

গত ২৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউশনের আবেদন মঞ্জুর করে এই ৮ কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দেন।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই ৮ কর্মকর্তা আত্মগোপনে ছিলেন। বিভিন্ন সময় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আদেশ মোতাবেক আজ তাদের আনা হয় ট্রাইব্যুনালে। এদের মধ্যে ছয় জনকে কাশিমপুর কারাগার থেকে আনা হয়েছে। বাকি দুজনের মধ্যে সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এবং এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানকে কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে গত ৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে প্রসিকিউশন অফিসে ১২৫টির মতো অভিযোগ জমা পড়ে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা বরাবরও অভিযোগ জমা পড়ছে। এর মধ্যে গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। পরে গত সোমবার জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় প্রথমবারের মতো ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব ও সাবেক একজন বিচারপতিসহ ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সংঘর্ষে ঢাকা কলেজের ১ শিক্ষকসহ আহত ১৫০

ইক্বরা আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন শুরু ২৯ নভেম্বর

‘গণহত্যাকারীদের বিচারের মাধ্যমে দেশকে কলঙ্কমুক্ত করতে হবে’

‘আ.লীগের একজন নেতাকর্মীও বিএনপির হাতে মারা যায়নি’

চালানোর সক্ষমতা নেই এমন কারখানা বন্ধ করবে সরকার : আসিফ মাহমুদ

ইউক্রেনকে স্থলমাইন দিতে সম্মত বাইডেন

সোশ্যাল হ্যান্ডেলে ঝড় তুললেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী (ভিডিও)

ইউরোপের ৩ দেশকে ইরানের হুঁশিয়ারি

নাটোরে বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১১

প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে চাকরির প্রস্তাব পেল ৭ বছরের শিশু

১০

যে কারণে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন না স্কালোনি

১১

ঢাবিতে জনপ্রশাসন সংস্কারবিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

১২

মুক্তিপণ দিয়ে বাড়ি ফিরলেন অপহৃত ২ জেলে

১৩

‘নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ছিল সুফিয়া কামালের জীবনের মূলমন্ত্র’

১৪

ঢাবির হলগুলোতে মানসম্মত ওয়াইফাই সংযোগ প্রদান শুরু

১৫

লিখিত ও বহুনির্বাচনীর সমন্বয়ে হবে জবির ভর্তি পরীক্ষা

১৬

মৌলিক গবেষণায় বৃত্তি পেলেন ঢাবির ৭ গবেষক

১৭

রাজ্জাকের চোখে বাংলাদেশের ক্রিকেটে তরুণদের উত্থান নতুন অধ্যায়

১৮

পুতিন-বাইডেনের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের টেলিফোন বন্ধ

১৯

হঠাৎ কেন হেরে যাওয়ার আশঙ্কা ইউক্রেনের

২০
X