অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেখে পুরনো বাইক কিনতে গিয়েছিলেন এক যুবক। কিন্তু 'টেস্ট ড্রাইভ' বা চালিয়ে পরীক্ষা করে দেখার নামে মোটরসাইকেল নিয়ে চম্পট দেন তিনি। এই ঘটনায় চুরি হওয়া মোটরসাইকেলসহ চুরি ও চুরির সহযোগিতার দায়ে দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে রাজধানীর নিউমার্কেট থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলার শেখ মোহাম্মদ আল আমিনের ছেলে মোহাম্মদ আল ইমরান এবং নাটোরের সাটুরিয়ার মামুনুর রহমানের ছেলে তানিম আহমেদ। এদের মধ্যে ইমরান নিউমার্কেট থানাধীন আইডিয়াল কলেজের সামনে থেকে প্রায় ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের ওই মোটরসাইকেলটি চুরি করেন।
এ সংক্রান্ত ঘটনার মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয় যে, ধানমন্ডির বাসিন্দা আতিকুর রহমানের ছেলে আশফিকুর রহমান মোটরসাইকেলটি বিক্রির উদ্দেশ্যে অনলাইনে বিজ্ঞপ্তি দেন। বিজ্ঞপ্তি দেখে গত ৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় বাইকটি দেখতে এসে ‘চালিয়ে দেখা’র কথা বলে বাইক নিয়ে পালিয়ে যান ইমরান। এ বিষয়ে নিউমার্কেট থানায় মামলা দায়ের হলে ইমরানের অবস্থান ট্র্যাক করে নাটোরের বড়াইগ্রাম থানার আহমেদপুর বাজার থেকে বাইকটি উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানার এসআই মনিরুজ্জামান বলেন, প্রায় এক সপ্তাহ মামলাটির তদন্ত করি। আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ইমরানের অবস্থান শনাক্ত করে বাইকটি উদ্ধার করি। তদন্তকালে জানা যায়, দামি বাইক চুরি করে অপেক্ষাকৃত কম দামে বিক্রির উদ্দেশ্য ছিল ইমরানের। বাইকটি ঢাকায় বিক্রি করতে না পেরে নাটোর নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বাইকটি বিক্রিতে তানিম তাকে সাহায্য করছিল। সবশেষে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে তাদেরকে বাইকসহ গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠালে আদালত তাদেরকে জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার তারিক লতিফ বলেন, আমরা ঘটনাটি জানার পর থেকে জড়িতকে গ্রেপ্তারে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাই। একপর্যায়ে নাটোর থেকে আমাদের তদন্ত কর্মকর্তা মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে এবং জড়িত আসামি ইমরানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই চোরচক্রের সঙ্গে আরও কেউ যদি জড়িত থাকে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
মন্তব্য করুন