কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মা নেই, বাবা কারাগারে : শিশুদের দেখভাল করতে হাইকোর্টের নির্দেশ

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

এক মাস আগেই জন্ম নিয়েছে যমজ দুই বোন। এর এক সপ্তাহ পর মারা যান মা। শেষ সম্বল বাবা জামাল মিয়াও হন কারাবন্দি। এখন না খেয়ে দিন পার করছে দুই শিশুসহ চার ভাই বোন। এমন মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে কদিন ধরেই চলছে নানা আলোচনা।

এবার বিষয়টি নজড়ে এনেছেন হাইকোর্টে। শিশুদের দেখভাল করতে স্থানীয় সমাজ সেবা অধিদপ্তর ও গোপালগঞ্জের ডিসিকে নির্দেশনা দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।

আদালতে এ বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনেন আইনজীবী ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ, ব্যারিস্টার নাজিয়া কবির ও ব্যারিস্টার সিফাত মাহমুদ শুভ।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান, সাজিয়া আফরিন, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন।

জানা গেছে, জামাল মিয়া পেশায় দিনমজুর। একমাস আগে জামাল মিয়ার স্ত্রী সাথী বেগম যমজ কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। এর ছয়দিন পর সাথী বেগম মারা যান। স্ত্রীর মৃত্যুর পর সদ্য জন্ম নেওয়া দুগ্ধপোষ্য দুই কন্যাসহ চার ছেলেমেয়ে নিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন জামাল মিয়া। ঘরে অসুস্থ মা ও চার শিশু সন্তানের লালন পালন করে দিন কাটছিল তার।

এ অবস্থায় গত শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দিবাগত রাতে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ জামাল মিয়াকে বাড়ি থেকে ধরে থানায় নিয়ে যায়। এরপর গোপালগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ পরদিন শনিবার (৯ নভেম্বর) জামাল মিয়াকে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায়।

জামাল মিয়ার ভাই মনির মিয়া বলেন, আমার ভাই কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নেই। একসময় সে আমতলী ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিল। পুলিশ কী কারণে আমার ভাইকে ধরে নিয়ে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠিয়েছে, তা আমাদের জানা নেই। তার সন্তানদের ঘরে খাবার নেই। কষ্টে দিন পার করছে তারা। এর মধ্যে নবজাতক দুই শিশুর অবস্থা সবচেয়ে খারাপ।

তিনি আরও বলেন, ভাইয়ের প্রথম সন্তান সাজ্জাদ মিয়া এম এম খান উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। দ্বিতীয় সন্তান ফারিয়া চিত্রাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। এ ছাড়া এক মাস বয়সী দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে তার। এই দুই সন্তান জন্মের ছয় দিনের মাথায় জামালের স্ত্রী সাথী বেগম মারা যান। বৃদ্ধা মায়ের দেখাশোনাও জামালই করতেন। এখন জামালের চার শিশুসন্তান ও বৃদ্ধা মায়ের দেখাশোনা করার কেউ নেই। দ্রুত সময়ের মধ্যে আমি আমার ভাইয়ের মুক্তি চাই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

খুলনায় পাটের গুদামে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট

পরকীয়ার জেরে ব্যবসায়ীকে জবাই করে হত্যা

চোর সন্দেহে স্কুলছাত্রকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ

আদালতে আ.লীগের ১৭ নেতাকর্মীর আত্মসমর্পণ, জামিন নামঞ্জুর

কুবি সাংবাদিকতা বিভাগের নতুন চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান

৭ ওভারের ঝড়ে বিধ্বস্ত পাকিস্তান

জবি ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে দেওয়ার নির্দেশনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের

রামপুরায় হঠাৎ রাস্তার পাশের দেয়ালধস, শিশুর মৃত্যু

বঙ্গবন্ধুর নাম পাল্টে লেখা হলো ‘নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়’

এমবাপ্পেকে নিয়ে ফ্রান্স দলে অশান্তি

১০

তেল কম দিল ফিলিং স্টেশন, অতঃপর...

১১

‘গণবিপ্লবের মহানায়ক ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের আমির’

১২

সাফজয়ীদের পুরস্কৃত করল সাউথইস্ট ব্যাংক

১৩

পেন্টাগনের কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করতে তালিকা করছেন ট্রাম্প

১৪

‘৩১ দফা বাস্তবায়নে জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই’

১৫

অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে একজনের কারাদণ্ড

১৬

ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু

১৭

চ্যাম্পিয়ন বিকেএসপি লাল দল

১৮

আ.লীগের ষড়যন্ত্র দৃঢ় হাতে দমন করতে হবে : আমিনুল হক

১৯

ঢাবি ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটিকে শিবিরের অভিনন্দন

২০
X