কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪২ এএম
আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৮ এএম
অনলাইন সংস্করণ

কুইক রেন্টালে দায়মুক্তি দেওয়া অবৈধ ছিল : হাইকোর্ট

হাইকোর্ট। পুরোনো ছবি
হাইকোর্ট। পুরোনো ছবি

কুইক রেন্টাল সংক্রান্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ৯ ধারায় দায়মুক্তির বিধান অবৈধ ছিল। বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

কুইক রেন্টাল সংক্রান্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ৯ ধারায় দায়মুক্তি কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলের শুনানি শেষে গত ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রায়ের দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ড. শাহদীন মালিক। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার সিনথিয়া ফরিদ।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন-২০১০’- এর ৯ ও ৬ (২) ধারা অনুযায়ী, রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কোনো কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন বা মামলা করা যাবে না। এই ধারা দুটি চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে গত ২ সেপ্টেম্বর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাইকোর্টে বেঞ্চ সোমবার রুল জারি করেন। এই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি করে আজ হাইকোর্ট রায় দেন।

রিটে বলা হয়, রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে অস্বাভাবিক খরচ আর অনিয়মের কারণেই বারবার বিদ্যুতের দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছে সরকার। অথচ সেই অনিয়মকে বৈধতা দেওয়ার জন্য আইন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এসব অনিয়মের কোনো বিচারও চাওয়া যাবে না-এটা জনস্বার্থবিরোধী ও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

রুল জারির পর ড. শাহদীন মালিক সাংবাদিকদের জানান, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন-২০১০’ সাধারণত কুইক রেন্টাল আইন নামে পরিচিত। আইনটির ৬-এর (২) উপধারা ও ৯ নম্বর ধারার সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেছি। ৬ এর ধারায় বলা আছে, জ্বালানিমন্ত্রী তার একক বিবেচনায় কোনো একক ব্যক্তি বা কোম্পানির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে তার সঙ্গে বিদ্যুৎ উৎপাদনের চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারবেন। এখানে মন্ত্রীর একক বিবেচনায় যাকে ইচ্ছা, যত টাকায় ইচ্ছা চুক্তি করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আর আইনটির ৯ নম্বর ধারায় বলা আছে, কাকে চুক্তি দেওয়া হয়েছে, কত টাকার চুক্তি করা হচ্ছে, এসব ব্যাপারে প্রশ্ন তুলে আদালতে শরণাপন্ন হওয়া যাবে না। দুটি ধারাই সংবিধানের লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করে এই আইনজীবী অভিযোগ করেন, ধারা দুটির অপব্যবহারের ফলে বিগত সরকারের আমলে কুইক রেন্টালের পাওয়ার প্ল্যান্টের নামে রাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি টাকা নষ্ট হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আদালতে আ.লীগের ১৭ নেতাকর্মীর আত্মসমর্পণ, জামিন নামঞ্জুর

কুবি সাংবাদিকতা বিভাগের নতুন চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান

৭ ওভারের ঝড়ে বিধ্বস্ত পাকিস্তান

জবি ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে দেওয়ার নির্দেশনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের

রামপুরায় হঠাৎ রাস্তার পাশের দেয়ালধস, শিশুর মৃত্যু

বঙ্গবন্ধুর নাম পাল্টে লেখা হলো ‘নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়’

এমবাপ্পেকে নিয়ে ফ্রান্স দলে অশান্তি

তেল কম দিল ফিলিং স্টেশন, অতঃপর...

‘গণবিপ্লবের মহানায়ক ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের আমির’

সাফজয়ীদের পুরস্কৃত করল সাউথইস্ট ব্যাংক

১০

পেন্টাগনের কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করতে তালিকা করছেন ট্রাম্প

১১

‘৩১ দফা বাস্তবায়নে জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই’

১২

অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে একজনের কারাদণ্ড

১৩

ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু

১৪

চ্যাম্পিয়ন বিকেএসপি লাল দল

১৫

আ.লীগের ষড়যন্ত্র দৃঢ় হাতে দমন করতে হবে : আমিনুল হক

১৬

ঢাবি ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটিকে শিবিরের অভিনন্দন

১৭

ঢাকায় আসছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি

১৮

৬ দাবিতে মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের বিক্ষোভ

১৯

ভারতীয় চিনি ভর্তি দুটি পিকআপ আটক

২০
X