হাইকোর্টের রায়ে খালাস পেয়েও একযুগ কারাভোগ করেছেন শুকুর আলী নামের এক ব্যক্তি।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) শুকুর আলীর আইনজীবী হাসান মো. আব্দুল ফাত্তাহ্ এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন।
শুকুর আলী মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার সিপাহীপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল জলিল বেপারির ছেলে।
জানা যায়, কোনো এক মামলায় শুকুর আলীকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেয় মুন্সীগঞ্জ আদালত। তারপর ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শুকুর আলী হাইকোর্ট বিভাগে আপিল দায়ের করেন। আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শুকুর আলীর সাজা মওকুফ করে বেকসুর খালাসের রায় প্রদান করেন। হাইকোর্ট জেল কর্তৃপক্ষ এবং অন্যান্য কর্তৃপক্ষকে কারাঅভ্যন্তরীণ শুকুর আলীকে অন্য কোনো মামলায় জড়িত না থাকলে যেন মুক্তি দেওয়া হয় এমন আদেশ প্রদান করেন।
কিন্তু অজ্ঞাত কারণে শুকুর আলী রায়ের ১২ বছরেও মুক্তি পান নাই। তিনি বর্তমানে কাশিমপুর কারাগারে আটক আছেন।
অ্যাডভোকেট হাসান মো. আব্দুল ফাত্তাহ্ জানান, উক্ত ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তিনি নোটিশ পাঠান। কারা কর্তৃপক্ষ নোটিশ পেয়ে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করেন এবং জানান, শুকুর আলীর সাজা মওকুফের ব্যাপারে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।
অ্যাডভোকেট হাসান মো. আব্দুল ফাত্তাহ্ বলেন, সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে একজন খালাস প্রাপ্ত ব্যক্তি বিনা অপরাধে এক যুগের বেশি সময় ধরে কারাগারের অভ্যন্তরে আটক থাকাটা সংবিধানের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী এবং আইনের চোখে তিনি ক্ষতিপূরণ পাওয়ার হকদার। তার জীবন থেকে এক যুগেরও বেশি সময় কেড়ে নেওয়ার অধিকার কারও নেই।
তিনি বলেন, যাদের অবহেলায় বেকসুর খালাস হওয়ার পরেও শুকুর আলী দীর্ঘদিন কারাগারে অভ্যন্তরে আটক ছিলেন, সেই অবহেলাকারীদের আইনগতভাবে তাকে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য।
মন্তব্য করুন