ব্যবসায়ী ইমরুল কায়েস ফয়সালকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা মামলায় তিন দিনের রিমান্ডে পুলিশের সঙ্গে রহস্যজনক আচরণ করেছেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
জিজ্ঞেসাবাদে হত্যা চক্রান্তে জড়িত থাকার কথা মৌখিকভাবে স্বীকার করলেও আদালতে জবানবন্দি প্রদানের কথা বললে কৌশলে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। এমনকি জিজ্ঞাসাবাদে একেক সময় একেক ধরনের কথা বলে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টাও করেছেন সাবেক এই মন্ত্রী। তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাও নাছোড়বান্দা। প্রাপ্ত তথ্য যাচাইবাছাই করে সততা নিশ্চিত করতে সাধন চন্দ্রকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তিনি। অপরদিকে, সাধন চন্দ্রও আদালতে জামিন চান। কিন্তু আদালত তা নামঞ্জুর করে সাধন চন্দ্র মজুমদারকে শনিবার (০২ নভেম্বর) বিকেলে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদনে আদালতের কাছে বলেন, ভুক্তভোগী ইমরুল কায়েসকে হত্যাচেষ্টার বিষয়ে সাধন চন্দ্র মজুমদার জ্ঞাত আছেন এবং মামলার ঘটনায় পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছেন বলে রিমান্ডে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। কাজেই সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত কাজ শেষ না হওয়ার পর্যন্ত আসামিকে কারাগারে আটক রাখা প্রয়োজন। সাধন চন্দ্র মজুমদারের কৌশলে জবানবন্দি প্রদানে অনিচ্ছা প্রাকাশ করা এবং একেক সময় একেক রকম তথ্য প্রদানের বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জাহাঙ্গীর আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি কালবেলাকে বলেন, ‘জিজ্ঞেসাবাদে তিনি (সাধন চন্দ্র) মূলত এমনভাবে উত্তর দিয়েছেন যাতে অপরাধী প্রমাণিত না হন। সরকারের দায়িত্বে থাকায় অপরাধের দায় বর্তায় বলে স্বীকার করলেও, ব্যক্তিগতভাবে নিরপরাধ দাবি করতে চেয়েছেন তিনি।
মন্তব্য করুন