৩০ বছর ধরে ৬৭ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ পরিশোধ না করায় চট্টগ্রামের শিল্পপতি শওকত হোসাইন চৌধুরী ও তার স্ত্রী-পুত্রের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালত। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম। কালবেলাকে তিনি বলেন, ৬৭ কোটি ৮২ লাখ ৬৭ হাজার ৯৪২ টাকা ঋণ পরিশোধ না করায় আলহাজ অয়েল মিলসের বিরুদ্ধে অর্থঋণ আদালতে মামলা করে জনতা ব্যাংক পিএলসির চট্টগ্রামের লালদীঘি শাখা। সেই মামলায় ডিক্রিদার পক্ষ গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ সেপ্টেম্বর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৪৬ কোটি ৩৬ লাখ ৯০ হাজার ১৪৩ টাকাসহ ওই টাকার উপর আদায় কালতক ১২ শতাংশ হারে সুদের ডিক্রি হয়। ডিক্রিকৃত টাকা ৬০ দিনের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হলেও তারা তা পরিশোধ না করায় ২০১০ সালের ২০ এপ্রিল ডিক্রিদার ব্যাংক দোষীদের বিরুদ্ধে ৬৭ কোটি ৮২ লাখ ৬৭ হাজার ৯৪২ টাকা আদায়ের দাবিতে মামলা করে। তাদের বন্ধকী সম্পত্তি এরই মধ্যে দুবার নিলামে বিক্রির জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলেও কোনো আগ্রহী ক্রেতা পাওয়া যায়নি। যে কারণে বন্ধকী সম্পত্তি বিক্রি করা সম্ভব হয়নি।
অর্থঋণ আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম বলেন, ডিক্রিদারের আবেদনের প্রেক্ষিতে বন্ধককৃত সম্পত্তি ডিক্রিদার ব্যাংকের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ডিক্রিদার ব্যাংক দায় সমন্বয়ে সম্পত্তি নিলামে বিক্রির জন্য নিলাম বিজ্ঞপ্তিও প্রচার করে। সেই নিলাম কার্যক্রম স্থগিত রাখার জন্য দায়িকরা হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন করায় নিলাম কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়।
ডিক্রিদার ব্যাংক হলফনামা সহকারে অর্থঋণ আইনের ৩৪ ধারা মোতাবেক দায়িকদের বিরুদ্ধে দেওয়ানি আটকাদেশসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার আবেদন করে। নালিশি ঋণ বিতরণের প্রায় ৩০ বছর অতিক্রান্ত হলেও দায়িকরা ডিক্রিদারের কোনো পাওনা পরিশোধ না করায় বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণ আদায়ে বাধ্য করতে চট্টগ্রামের শিল্পপতি শওকত হোসাইন চৌধুরী ও তার স্ত্রী-পুত্রের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন