বিএনপি কর্মী মকবুল হত্যা মামলায় গোপালগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খানকে দুই দিনের রিমান্ড আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আসামির উপস্থিতিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক নাজমুল হাচান ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে শুনানি শেষে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্যাহর আদালত এ আদেশ দেন।
জানা যায়, ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ডাকা সরকার পতনের একদফা দাবি আদায়ের কর্মসূচি ঘিরে নেতাকর্মীরা সমাবেশের কয়েক দিন আগে থেকে রাজধানীর নয়া পল্টন এলাকায় জড়ো হতে থাকলে মামলার আসামিরা সমাবেশ বানচালের চক্রান্ত করে। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পুলিশের কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। আন্দোলন দমন করতে নির্বিচারে লাঠিচার্জ, ককটেল হামলা, টিয়ারসেল নিক্ষেপ, সাউন্ড-গ্রেনেড বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণ করা হয়। এতে বিএনপির কয়েকশো নেতাকর্মী আহত হন এবং মকবুল হোসেন নামক এক বিএনপি কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন, এজহার নামীয় আসামিদের অবস্থান শনাক্তকরণ ও মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন বলে জানায় পুলিশ।
এর আগে সোমবার (১৪ অক্টোবর) দিবাগত রাতে ফারুক খানকে তার ঢাকার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর তাকে ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় একাধিক মামলার আসামিও তিনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-১ আসন (মুকসুদপুর ও কাশিয়ানী উপজেলার ৭ ইউনিয়ন) থেকে জয়ের পর বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান।
মন্তব্য করুন